প্র: বাম্পার রিলিজ় তো পুজোর পরে হচ্ছে। ‘বাঘ বন্দি খেলা’য় সোহম এবং জিতের সঙ্গে আপনি!
উ: হা হা... তাই মনে হচ্ছে।
প্র: এক ফ্রেমে না হলেও আপনি আর জিৎ অবশেষে এক ছবিতে...
উ: হ্যাঁ, ওর সঙ্গে কিছুতেই কাজ করা হয়ে উঠছিল না। দেবের সঙ্গে যেমন দুটো ছবিতে কাজ করেছি। ফের কাজ করার কথাও চলছে।
প্র: তাই? প্রযোজক কে?
উ: হ্যাঁ। প্রযোজক ঠিক নেই। জয়েন্ট প্রো়ডাকশন হতে পারে। রানের (নিসপাল সিংহ) সঙ্গেও হতে পারে। গল্প নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্র: ‘বাঘ বন্দি খেলা’র প্রিমিয়ার তো টেলিভিশনে হওয়ার কথা ছিল। সিদ্ধান্ত বদলাল কেন?
উ: প্রথমে তা-ই ছিল। কিন্তু পুরো বিষয়টাই সিনেমার মতো ট্রিট করা হয়েছে। তিন জন হিরো, তিন রকমের গল্প। কমেডি, অ্যাকশন এবং ড্রামা। একটা গল্প যেখানে শেষ হচ্ছে, আর একটার সেখান থেকে শুরু। সবটা তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত হল, ছবিটা কমার্শিয়ালি রিলিজ় করা হোক। এই রকম প্রয়াস আগে হয়নি। তিনটে হিরোর নামে কিছু লোক নিশ্চয়ই টিকিট কেটে হলে যাবে (হাসি)!
প্র: পুজোয় ছ’টা ছবি রিলিজ় করল। আপনার মতে কোনটা হিট?
উ: টাকার অঙ্কের কথা বললে বলব, কোনওটাই নয়। কাকাবাবু বা ‘আমাজন অভিযান’-এর মতো কোনও ছবি আসেনি যে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে। মাল্টিপ্লেক্সে সৃজিতের (মুখোপাধ্যায়) ছবি ভাল করেছে। আবার সিঙ্গল স্ক্রিনে ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’ ভাল করেছে। ছবিটা সেকেন্ড উইকে ভাল পিক করছিল। কিন্তু ওই যা হয়...পলিটিক্স করল, ছবি চালাল না।
প্র: আপনার সঙ্গেও পলিটিক্স! সকলের সঙ্গেই তো আপনার ভাল সম্পর্ক!
উ: এক প্রযোজকের সঙ্গে আর এক প্রযোজকের কেমন সমীকরণ কী করে বলব! আমি একটা জায়গা পর্যন্ত নিজে দেখতে পারি। কিন্তু সবটা সম্ভব নয়। আর কাউকে রিকোয়েস্ট আমি করতে পারব না।
প্র: আপনার বিচারে পুজোর সেরা ছবির র্যাঙ্ক কী রকম হবে?
উ: প্রথমে ‘ব্যোমকেশ গোত্র’কে রাখব। সৃজিতের ছবিটা নিয়ে খারাপ-ভাল বলব না, কিন্তু প্রশংসা হয়নি তেমন। ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ শুনেছি খারাপ হয়নি। তবে এ বছর পুজোর বেস্ট ছবি ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’। আমার ছবি বলে বলছি না, এটা সকলে এক বাক্যে বলছে। আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স এটা। তবে ব্যবসা যতটা ভেবেছিলাম, ততটা হল না। কারণ আগেই বললাম। প্রিয়া-নন্দনের থেকে যে সাপোর্টটা পাই, সেটা পাইনি। দুটো হলই এ বার বন্ধ ছিল।
প্র: আপনি কোন ছবিটা দেখলেন?
উ: একটাও নয়। ‘হইচই আনলিমিটেড’ খানিকটা দেখেছি। দেবের ছবিটাও খারাপ করেনি। তবে দেবের একটা সমস্যা হল, ও আরবান আর কমার্শিয়াল মিশিয়ে ফেলে। (একটু থেমে) একটা জিনিস আজ বলছি, পরে মিলিয়ে নেবেন... পাঁচ বছর পরে অভিনেতারা যদি চরিত্র হয়ে উঠতে না পারে তা হলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারবে না। সে যত বড় স্টারই হোক না কেন। চরিত্র হতে না পারলে বাকি জীবন ফিতে কেটে কাটাতে হবে। বলিউডে সলমন খানের ছবি চলে না। শাহরুখ খানের কেরিয়ার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়! এটা ভাবতে পেরেছিল কেউ? আর এ দিকে দেখুন ‘স্ত্রী’, ‘অন্ধাধুন’, ‘বধাই হো’ কী সব ছবি হচ্ছে! আয়ুষ্মান, রাজকুমার রাও স্টারডমের সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঋত্বিক চক্রবর্তী বাকিদের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে। যিশু যে সময়ে নায়ক হয়েছিল, তখন ভাল কিছু করতে পারেনি। কিন্তু ও এক জন পরিপূর্ণ অভিনেতা বলে এখন কেমন কাজ করছে দেখুন। আমি নিজে ওর ডেটের জন্য অপেক্ষা করছি। আগামী দিন অভিনেতাদের।
প্র: ‘ময়ূরাক্ষী’ ইফি-তে না থাকায় আফসোস হচ্ছে?
উ: আফসোস না হলেও অবাক হয়েছি বলব। এক্সপেক্ট করেছিলাম ‘ময়ূরাক্ষী’ ইফি-তে থাকবে। তবে অভিষেকের (সাহা) ‘উড়নচণ্ডী’র জন্য আমি সত্যি ভীষণ খুশি। আর এতে অন্য ধরনের ছবি করার সাহসটা পেয়ে গেলাম।