সুনিধি
প্র: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রিয়্যালিটি শো, আপনার মতে এই ট্রেন্ড কি দীর্ঘস্থায়ী হবে?
উ: নিশ্চয়ই হবে। একই ধরনের রিয়্যালিটি শো দীর্ঘ সময় ধরে একই ভাবে চলে আসছে। এখানে গান কম আর প্রতিযোগীদের সংঘর্ষের কাহিনি যেন বেশি বলা হয়। আমার তো মনে হয়, সকলের কাছেই একটা সংঘর্ষের গল্প থাকে। কিন্তু তা শেয়ার করা জরুরি নয়। বিচারকদেরও উচিত একটা মাত্রা রেখে প্রতিযোগীদের প্রশংসা করা। অনেক সময় তাঁরা বলে থাকেন, ‘তুমি তো অরিজিনাল সিঙ্গারের চেয়েও ভাল গেয়েছ’। এই ধরনের মন্তব্য কখনই করা উচিত নয়। তবে শোয়ের শুটিংয়ের সময় আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম। তাই আমি আর আমার ছেলে খুব সুন্দর মিউজিক্যাল পরিবেশ এনজয় করেছি। অভিজ্ঞতা যদি ভাল না হতো, তা হলে হয়তো সময়টা স্ট্রেসফুল কাটত।
প্র: আপনি অত্যন্ত সফল এক জন গায়িকা। কোন গুণকে নিজের ইউএসপি মনে করেন?
উ: আমি শ্রোতাদের কাছে থ্যাংকফুল। কেরিয়ারে কম্পিটিশনের কথা না ভেবে, সব সময় নিজের উপর ফোকাস করেছি। আপনি নিজের জায়গা নিয়ে নিরাপদ না হলে ইনসিকিয়োরিটি তাড়া করবেই। আমার থেকে যদি কেউ ভাল গায়, সেটা পজিটিভ ভাবে গ্রহণ করেছি। প্রতি গানের সঙ্গে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করি। আমি ওয়েস্টার্ন গান শুনতে ভালবাসি। চেষ্টা করি, সেই মিউজিক থেকে কিছু ভাল জিনিস যেন নিজের মধ্যে নিতে পারি। আর একটা বিষয়ে আমি খুব নিশ্চিত, তা হল প্রতিভা। ট্যালেন্টেড হলে, সে সফল হবেই। আমি কিন্তু ১১ বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেছি। ‘মেরি আওয়াজ সুনো’ আমাকে বড় প্ল্যাটফর্ম দিয়েছিল। তবে গ্লোবালি শ্রোতারা আমাকে চিনতে শুরু করেন ‘মস্ত’-এর গান থেকে।
আরও পড়ুন: অনিন্দিতার বলিউড ডেবিউ, সঙ্গী এষা
প্র: আপনি তো লাইভ শোয়ের জন্যও জনপ্রিয়। মা হওয়ার পর ব্রেক নিয়েছেন। মিস করেন শো?
উ: ৩৪ বছর ধরে এই সব কিছুই তো করে আসছি! এখন আমি মাদারহুড এনজয় করতে চাই। আর এক-দু’ মাসের মধ্যে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্টেজ শো করতে চলে যাব। আমার কাছে মাতৃত্ব খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। হ্যাঁ, প্রথম ১০টা দিন খুব কঠিন ছিল, কখন দিন আর কখন রাত, বুঝতেই পারছিলাম না।
প্র: এর পর নতুন কী করতে চান?
উ: ইন্ডিভিজুয়াল অ্যালবাম বানাতে চাই। নতুন ধরনের কিছু গান শিখতে চাই। প্লেব্যাক তো করতে চাই-ই। ভবিষ্যতে নিজে গান কম্পোজও করব।
প্র: এক জন শিল্পী হিসেবে কী স্বপ্ন দেখেন?
উ: আমি স্বপ্ন কারও সঙ্গে শেয়ার করি না। এটুকু বলব, ভাল চরিত্র পেলে অভিনয়ও করব (হেসে)।