“মিসেস উওম্যান অফ দ্য ইউনিভার্স” এ তৃতীয় অপ্সরা গুহঠাকুরতা।
কথায় বলে “যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে”। এই কথাটির সার্থক উদাহরণ হয়ে উঠেছেন গড়িয়ার বাসিন্দা অপ্সরা গুহঠাকুরতা। শুধুমাত্র অদম্য ইচ্ছে থাকলে যে সবকিছু সম্ভব তাঁর অন্যতম নিদর্শন তিনি। ২০১৮ সালে পেয়েছিলেন “মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স আর্থ” এর খেতাব। এই বছর বিশ্বজয়ের শিরোপা না পেলেও নিজের দেশকে অনন্য সম্মান দিয়েছেন তিনি। “মিসেস উওম্যান অফ দ্য ইউনিভার্স” এ তৃতীয় হয়ে নিজেকে তুলে ধরেছেন মডেলিং জগতের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে। অক্টোবরের ১৪-১৮ তারিখ ডমিনিকান রিপাবলিকে বসেছিল এর আসর। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র তৃতীয় হয়ে থেমে থাকেনি অপ্সরা। এর পাশাপাশি হয়েছেন “মিসেস ফোটোজেনিক ফেস’ এবং পেয়েছেন “মিসেস ই-ভোট” এর খেতাব।
সুস্মিতা সেনের ভক্ত অপ্সরার ছোটবেলা থেকেই ছিল মডেলিংয়ের নেশা। বাড়ির কড়া শাসনে পড়াশোনার দিকেই মন দিতে হয় তাকে। সাউথ সিটি কলেজ থেকে মার্কেটিং নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করার পর প্রাচীন কলাকেন্দ্র থেকে ওড়িশি নৃত্যে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর কলকাতার নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দশ বছর চাকরি। অপ্সরার বাবা প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রী অভিনীত “দেবীবরণ” সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। তাই ছোট থেকেই গ্ল্যামার জগতের প্রতি টান হয়তো থেকেই গিয়েছিল। বিয়ের পর অবশেষে নিজের স্বপ্নপূরণের সুযোগ পেয়ে আর হাতছাড়া করেননি তিনি।
শুধুমাত্র মডেলিং নয়, এর মধ্যে ব্যবসার জগতেও হাতেখড়ি হয়েছে অপ্সরার। ‘জ্যাজ নেলস’ বলে একটি নেল স্টুডিয়ো খুলেছেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি একজন ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যের একজন পেশাদার শিল্পী। সেই কারণেই ইউনিভার্স এর মঞ্চে ট্যালেন্ট রাউন্ডে ক্ল্যাসিকাল ডান্স পারফর্ম করেন তিনি। বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল বাইসাইকেল ‘ইউনিরক্স’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অপ্সরা। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়ে আসার ইচ্ছে রয়েছে অপ্সরার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু টলিউড পরিচালকের সাথে কাজের ব্যাপারে কথা হয়েছে, তবে ভাল কনটেন্ট না হলে তিনি কাজ করবেন না।
আরও পড়ুন: অপর্ণার হাত ধরে আবার বড়পর্দায় ফিরছে বিমলা-সন্দীপ-নিখিলেশ