করিশ্মা
ভিড়ের মধ্যেও তিনি নজর কাড়বেন। তাঁর মতো দীর্ঘাঙ্গী সুন্দরী সচরাচর দেখা যায় না। ‘নাগিন থ্রি’-এর লঞ্চ উপলক্ষে মুম্বইয়ে আনন্দ প্লাসের জন্য করিশ্মা তন্না যখন সময় পেলেন, তিনি বেশ ক্লান্ত। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘আপনি প্রশ্ন করার আগেই আমি উত্তর দিয়ে দিতে পারব।’’ কলকাতার প্রতিবেদক শুনে নায়িকার প্রথম প্রশ্ন, ‘কেমন আছো?’
প্র: বাংলা বলতে পারেন?
উ: (পরিষ্কার বাংলায়) একটু একটু বুঝতে পারি। তবে বলতে পারি না।
প্র: আপনার পরিবারে কি কেউ বাঙালি?
উ: না, না। তবে ভাষা শেখার উপর আমার বিশেষ দখল আছে।
প্র: এই বছরে তো বেশ ব্যস্ত থাকবেন...
উ: হ্যাঁ, এই বছরটা ব্যস্ততার মধ্যেই কাটবে। বড় বড় কাজ করছি। আশা রাখি, আগামী বছরগুলোও এমনিই কাটবে।
প্র:‘নাগিন থ্রি’-এর সঙ্গে কী ভেবে যুক্ত হলেন?
উ: এটা বালাজির প্রযোজনা। অনেক দিন পরে আবার ওদের সঙ্গে কাজ করছি। বলতে পারেন, বালাজির সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় ইনিংস। আর দ্বিতীয়ত, ‘নাগিন’ ব্র্যান্ডটার জন্য। আগের সিজ়নগুলোয় ‘নাগিন’ খুব ভাল চলেছে। ভাবলাম, যদি টেলিভিশনেই কাজ করি, সেরা ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করাই শ্রেয়।
প্র: ‘নাগিন’ সম্রাজ্ঞী মৌনী রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে?
উ: কথাও হয়েছে। ওর কাছ থেকে কিছু টিপ্সও নিয়েছি।
প্র: কী কী টিপ্স?
উ: দেখতে যেন ভাল লাগে। ফোকাস থাকে। আর ভাল অভিনয় তো বটেই। আমি তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম, নাগিনের জন্য কি বিশেষ কিছু করতে হবে? ও বলল, না না। সব এমনিই ভাল হবে (হাসি)।
প্র: করিশ্মাকে যদি ইচ্ছাধারী নাগিনের মতো কোনও রূপ নিতে বলা হয়, কী হতে চাইবেন?
উ: (কিছুক্ষণ ভেবে) আমি অদৃশ্য হব।
প্র: ‘সঞ্জু’তে মাধুরী দীক্ষিতের চরিত্রে অভিনয় করছেন তো...
উ: (হেসে) সেটা বলার অনুমতি আমার নেই। এটা সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক। তাই ছোট-বড় সব চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। আমার চরিত্রও তাৎপর্যপূর্ণ।
প্র: মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে?
উ: মাধুরী ম্যামের সঙ্গে এখনও আলাপ হয়নি। তবে নিশ্চয়ই হবে এর মধ্যে।
প্র: রণবীর কপূরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: ও মাই গড। ভীষণ ভাল।
প্র: আপনি কি রণবীরের ভক্ত?
উ: না, ফ্যান নই। (অন্য কথা বলতে গিয়েও বললেন, প্লিজ এটা হেডলাইন করবেন না যে, আমি রণবীরের ফ্যান নই)। ‘রকস্টার’, ‘বরফি’তে ওর অভিনয় খুব ভাল লেগেছিল।
প্র: টেলিভিশনের চেয়ে ছবির দিকে কি বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন?
উ: টিভিতে কাজ করলে ছবি করা যায় না, সেই যুগ চলে গিয়েছে। টিভিতে কাজ করেও নজরে আসা যায়। ছবিতে সুযোগ পাওয়া যায়। আমার কাছে ভাল চরিত্র, ভাল গল্পের প্রস্তাব এলে আমি দু’টি মাধ্যমেই কাজ করতে স্বচ্ছন্দ।
প্র: এতটা লম্বা হওয়ার জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন কখনও?
উ: আরে, আমার পাশে কেউ দাঁড়াতেই চায় না। নিজেকে অস্পৃশ্য মনে হয়। লোকে জিজ্ঞেস করে, কতটা উঁচু হিল পরে আছি (হাসি)।
প্র: আপনার চেয়ে উচ্চতায় ছোট ছেলেকে বিয়ে করবেন?
উ: যদি তাকে ভালবাসি, নিশ্চয়ই করব।
প্র: শুনেছি, ভাল রান্না করতে পারেন...
উ: রোজের রুটি-ডাল-তরকারি করতে পারি। তবে বাহারি পদ পারি না।
প্র: বিয়ে কবে করছেন?
উ: ডান দিক, বাঁ দিক, যে দিকে তাকাই সকলে বিয়ে করছে। আর টুইটারে ছবি দিচ্ছে। আমি তো ছেলেই পাচ্ছি না!
প্র: লোকে কিন্তু এটা বিশ্বাস করবেন না!
উ: জানি, সকলেই শুনে অবাক হয়, করিশ্মা সিঙ্গল! তার জন্য আফসোস করছি না। এই মুহূর্তে নিজেকে নিয়ে খুশি। ভবিষ্যতে অবশ্যই বিয়ে করতে চাই (হাসি)!