প্র: আপনার স্ত্রী পঙ্খুরি নিজেও অভিনেত্রী। আপনার জন্মদিন নিয়ে ওঁর এই পিআর স্ট্র্যাটেজির কেমন প্রতিক্রিয়া?
উ: ক্লিশে মনে হলেও আমরা সব সময়ে শোয়ের কীসে ভাল হয়, সেটা নিয়ে ভাবি। ‘কালভৈরব রহস্য টু’-এর যখন প্রোমোশনাল স্ট্র্যাটেজি তৈরি হয়েছিল, তখন থেকে ভাবছিলাম অন্য রকম কী করা যায়। আসলে ‘কালভৈরব’ শোয়ে আমার চরিত্র এক জন রাজপুত্রের কাছ থেকে এমন অভিশাপ পেয়েছে যে, সে তার শেষ জন্মদিন পালন করতে চলেছে। তবে টুইট করার কিছুক্ষণের মধ্যে সকলে আমার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ায় খারাপ লেগেছিল।
প্র: নিজের জীবনে আপনি কতটা কুসংস্কারমুক্ত?
উ: আমি রোজ মন্দিরে যাই। এখন শুটিং করছি বলে যেতে পারছি না। কুসংস্কারী নই, তবে কিছু জিনিস মেনে চলি। যেমন আমার লাকি নম্বর ৫। তাই গাড়ির নম্বরের মধ্যে যেন ৫ থাকে বা পার্কিং স্পেসের নম্বর যেন ৫ হয়, সেই চেষ্টা করি। আমার ফ্ল্যাটেরও নম্বর ৫!
প্র: বিয়ে আপনার জীবনে কী কী পরিবর্তন এনেছে?
উ: লাইফ ইজ় গ্রেট! জীবনসঙ্গিনী যদি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হন, তা হলে সম্পর্কের সমীকরণটা খুব সহজ হয়ে যায়। পঙ্খুরি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমার সোশ্যাল সার্কল খুব ছোট। ২-৩ জন বন্ধু বাদ দিয়ে আমার মা আর পঙ্খুরিই সব। আমার আর পঙ্খুরির স্বভাব একদম আলাদা, কিন্তু আমাদের মূল্যবোধ এক। তাই ওর সঙ্গে সময়টা খুব ভাল কাটে।
প্র: স্বামী-স্ত্রী একই পেশায় থাকলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়?
উ: যদি দু’জনেই বিচক্ষণ হন, তা হলে কোনও সমস্যাই হয় না। আর ইগোর সমস্যা কিন্তু যে কোনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হতে পারে। বিশেষ করে যখন এক জনের কাছে কাজ থাকে না, তখন বিষয়টা একটু স্পর্শকাতর হয়ে যায়। আমার আর পঙ্খুরির এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। মনে হয় না, আগামী দিনেও হবে বলে (হেসে)।
প্র: অভিনেতা হিসেবে আপনাকে কোন জিনিসটা চ্যালেঞ্জ করে?
উ: শারীরিক দিক থেকে কোনও শো যদি আমাকে চ্যালেঞ্জ করে, সেটা আমি সব সময়ে লুফে নিই। ছোট পর্দায় নিজের প্রতিভা দেখানোর অবকাশ কম থাকে। ‘কালভৈরব’-এর মতো শো এক জন অভিনেতাকে খুব ক্লান্ত করে দেয়। আউটডোর শুটের সময়ে আমাদের এনার্জি সব সময়ে ধরে রাখতে হয়। দিনের শেষে শুটিংয়ের পরে খুব ক্লান্ত লাগে। গত কয়েক বছরে টেলিভিশনে আমি এই রকম শোতেই কাজ করেছি। এ ব্যাপারে আমি ভাগ্যবান।
প্র: ফিল্ম করেও টিভিতে কেন?
উ: সোজাসাপ্টা জবাব দেব— ছবির কোনও অফার নেই। অন্যদের মতো বলব না যে, আই অ্যাম অন আ ব্রেক (হেসে)। ভাল অফার পেলে নিশ্চয়ই করব। আর এখন তো ভাল সময় চলছে। টিভিতে যাঁরা ভাল কাজ করছেন, তাঁদের সিনেমার প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা কাজের অফার দিচ্ছেন। কিন্তু শুধুমাত্র অফার নয়। সেই ছবি বক্স অফিসে চলাটাও গুরুত্বপূর্ণ। সময় বদলাচ্ছে। কিন্তু টেলিভিশন আমাকে আমার ঘর দিয়েছে, রুজি-রোজগার দিয়েছে। তাই টিভি আমি কোনও দিন ছাড়ব না।