যা করেছি, নিজের চেষ্টায় করেছি

তিনি এখন ৮২। কথায় কথায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আনন্দ প্লাসের সঙ্গে কথা বললেন ধর্মেন্দ্রতিনি এখন ৮২। কথায় কথায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আনন্দ প্লাসের সঙ্গে কথা বললেন ধর্মেন্দ্র

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৪
Share:

ধর্মেন্দ্র

প্র: ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ফির সে’-এ আপনি, রেখা আর শত্রুঘ্ন সিংহ একসঙ্গে। শুটিংয়ের দিন কেমন অভিজ্ঞতা হল?

Advertisement

উ: যে দিন একসঙ্গে শুটিং করলাম, সে দিন মনে হচ্ছিল সকলের মধ্যে একটা আলাদা প্রাণ এসে গিয়েছে! সেটে সবাই খুব উৎফুল্ল ছিল। সানি আর ববি আমাদের তিন জনকে দেখে বলেছিল, আমাদের একসঙ্গে ছবি করা উচিত। তিনজনে খুব গল্প করলাম, খুব হাসিঠাট্টা হল। আমরা এখনকার বন্ধুদের মতো হাই-হ্যালো বলি না, দেখা হলে একে অপরের খুব পিছনে লাগি।

Advertisement

প্র: পঞ্চাশ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। কোন সময়টা আপনার কাছে শ্রেষ্ঠ সময় ছিল?

উ: আমি তো এখনও সেই দিনটার অপেক্ষায় আছি যখন আমার কাছে একটা দারুণ স্ক্রিপ্ট আসবে। আমার মতে, প্রত্যেক দশকের আলাদা দর্শক ছিল। দর্শকই সিনেমার ধারা বদলে দেন। আমি ভাগ্যবান যে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, গুলজ়ার, রমেশ সিপ্পি... এঁদের সঙ্গে কাজের সৌভাগ্য হয়েছে। আরও কত নাম নেব! আমার করা সব ছবির সঙ্গেই আমার ভালবাসা জড়িয়ে আছে।

প্র: পর্দায় আপনার একটা হি-ম্যান ইমেজ আছে। কিন্তু পর্দার পিছনে আপনি এক জন আবেগপ্রবণ কবি... কবিতার প্রতি ভালবাসা কী ভাবে তৈরি হল?

উ: আমি আসলে এক জন আবেগপ্রবণ মানুষ। অ্যাক্টিং কী? অ্যাক্টিং ইজ় রিঅ্যাক্টিং। ‘বন্দিনী’তে আমার কাজ দেখে সবাই বলেছিল, আমি নাকি আন্ডারপ্লে করেছি। আমি তখন আন্ডারপ্লে করা কাকে বলে, সেটাই জানতাম না। অভিনয়ে আবেগ খুব কাজে আসে। তাই খুব তাড়াতাড়ি আমি রিঅ্যাক্ট করি। মন ভারী হয়ে গেলেই কিছু লিখে ফেলতাম আর সেই থেকেই কবিতার প্রতি ভালবাসা জন্মাল। অনেকে বলেন, আমার একটা বই প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু আমার ইচ্ছে আছে, একটা ভিডিয়ো বানাব। কবিতা লেখার সময়ে আমার মধ্যে যে আবেগ কাজ করে, সেটা সকলকে দেখাতে ইচ্ছে করে।

প্র: নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে কার কাজ সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে?

উ: রণবীর কপূর এবং রণবীর সিংহ— দু’জনেই খুব বড় মাপের অভিনেতা। রণবীর কপূর ‘সঞ্জু’তে অনবদ্য অভিনয় করেছে। আবার ‘পদ্মাবত’-এ রণবীর শেষ দৃশ্যে যেমন অভিনয় করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য!

প্র: অনেক বছর পর ববি আবার ছবিতে সাফল্য পেলেন। বাবা হিসেবে কী ভাবে দেখেন?

উ: স্ট্রাগ্‌ল তো সকলকেই করতে হয়। আমি ১৯৫৯ সালে মুম্বইয়ে এসেছিলাম। হাফপ্যান্ট পরে খাড়ি সাঁতরে জুহুতে আসতাম। হোটেলগুলোর ভিতরে পার্টি চলত। তখন ভাবতাম, এক দিন আমিও হোটেলের ভিতরে গিয়ে পার্টি করব। জুহুতে নিজের স্টুডিয়ো বানিয়েছি। যা করেছি, নিজের চেষ্টায় করেছি। সানির কেরিয়ারে একটা সময় এসেছিল, যখন ওর ছবি চলছিল না। নিজের চেষ্টায় সানি আবার এই জায়গায় এসেছে। ববির জন্য আমি খুব খুশি, কিন্তু ওকে এখনও আরও পরিশ্রম করতে হবে।

প্র: হেমা মালিনীর সঙ্গে আবার কবে আপনাকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে?

উ: আমরা একসঙ্গে ২৫টা ছবিতে কাজ করেছি। সিলভার জুবিলি, গোল্ডেন জুবিলি দিয়েছি। কিন্তু দু’জনে কোনও দিনই সেটা জাহির করিনি। সময় এবং সে রকম ভাল রোল পেলে নিশ্চয়ই আবার একসঙ্গে কাজ করব।

প্র: আপনার নাতি সিনেমায় আসছেন। কী উপদেশ দেবেন?

উ: আমি আমার বাবার উপদেশ কোনও দিন শুনতাম না। বাবার প্রবল আপত্তি ছিল, আমি কেন ফিল্মি লাইনে এসেছি! আমাদের বাড়ির মেয়েদেরও ফিল্মে আসতে দেননি। আমি ওঁর কথা শুনিনি। ববি বা সানি কাউকেই আমি কোনও দিন উপদেশ দিতে যাইনি। কর্ণ (নাতি) নিজের কেরিয়ার নিজের মতো করে তৈরি করুক। অধ্যবসায় আর ধৈর্যই ওকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আশা রাখছি, দেওল পরিবারের নাম উজ্জ্বল করবে ও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement