আদিত্য
বক্স অফিসে এখনও তেমন কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি ‘কলঙ্ক’। সমালোচকদের কাছে প্রশংসাও তেমন পায়নি ছবিটি। কিন্তু ছবিতে দেব চৌধুরীর চরিত্রে আদিত্য রায় কপূরকে সকলেই পছন্দ করেছেন। ‘ওকে জানু’র পরে স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্স ছাড়া দেখা যায়নি অভিনেতাকে। অনেক দিন পরে ক্যামেরার সামনে ফিরতে পেরে স্বস্তিতে আদিত্য।
প্র: আপনি নাকি সিঙ্গল? কিন্তু আপনাকে নিয়ে তো অনেক গুজব শোনা যায়...
উ: আমি সত্যিই সিঙ্গল। যাঁরা ভাবেন বা বলেন আমি প্রেম করছি, তাঁদেরই জিজ্ঞেস করুন, আমার প্রেমিকা কে? অনেক দিন কাজের বাইরে ছিলাম। কিন্তু এখন কাজ আগে, বাকি সব কিছু পরে।
প্র: ‘ওকে জানু’র দু’বছর পরে বড় চরিত্র করলেন। মাঝের সময়টায় কী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন?
উ: অনেকটা অবসর পেয়েছিলাম। সময়টাকে কাজে লাগিয়েছি। খুব ঘুরেছি। মি-টাইম বলতে পারেন। শুধু ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব বলে এমন কিছু করতে চাইনি, যেটায় আমার মন সায় দেয়নি। অপেক্ষা করেছি পছন্দের চরিত্রের জন্য। ‘কলঙ্ক’-এর চরিত্রটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ পিরিয়ড ফিল্ম আগে করিনি। সব মিলিয়ে খুব উত্তেজিতও ছিলাম। আর যখন কাজ করছিলাম না, তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে, অভিনয়কে কতটা ভালবাসি। এটা ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারব না।
প্র: দাদার (সিদ্ধার্থ রায় কপূর) প্রযোজনায় কখনও ছবি করার কথা ভাবেননি?
উ: মুম্বইয়ে সিনেমা ব্যবসাটা বড়ই আনপ্রেডিক্টেবল। অনেক সময়ে বহু প্রতিশ্রুতিময় ছবিও ফ্লপ করে যায়। আবার কখনও কখনও সাধারণ কিছুও দর্শকের ভাল লেগে যায়... পরিবারের সঙ্গে কাজ না করার কোনও বিশেষ কারণ নেই। সিদ্ধার্থ বা বিদ্যার (বালন) সঙ্গে মনের মতো চিত্রনাট্যে কাজ করব নিশ্চয়ই। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে, বেশ কিছু ভাল প্রজেক্টে কাজ করতে পারছি। তার মধ্যে ‘সড়ক টু’, ‘মলঙ্গ’-এর মতো ছবি রয়েছে।
প্র: আলিয়ার সঙ্গে ‘কলঙ্ক’-এর পরে ‘সড়ক টু’তে আবার একসঙ্গে কাজ করবেন। কো-স্টার হিসেবে কেমন লাগল ওঁকে?
উ: আলিয়া ভীষণ শার্প। সেটে শুধু নিজেরটাই নয়, আমাদের সকলের সংলাপও মনে রাখত। ভীষণ পরিশ্রমী। ‘সড়ক টু’-এ ভট্ট সাব (মহেশ ভট্ট) প্রথম বার আলিয়াকে ডিরেক্ট করবেন। দর্শকের মতো আমরাও খুব উদগ্রীব হয়ে আছি সেটা দেখার জন্য। ভট্ট সাবের এনার্জি লেভেল দেখেও অবাক হয়ে যাই। সব সময়ে চার্জড হয়ে আছেন।
প্র: সঙ্গীত আপনার জীবনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। তা নিয়ে কিছু করতে চান ভবিষ্যতে?
উ: এটুকুই বলতে পারি যে, সঙ্গীত আমাকে এখনও ছেড়ে যায়নি। এখনও গান লিখি। নতুন সুর বানাই। গিটার নিয়ে বসলে সময় ভীষণ তাড়াতাড়ি কেটে যায়। আমার ইচ্ছে আছে, গান নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু একটা করার।