সানিয়া
প্র: বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: নিজেকে চিমটি কেটেছিলাম প্রথম দিন! ‘বালমা’ গানটা যখন রেকর্ড হচ্ছিল, তখন বিশাল স্যর আমাকে রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় ডেকে পাঠান। সামনে রেখা ভরদ্বাজ গান গাইছেন আর আমি বসে আছি, বিশ্বাসই হচ্ছিল না! আমার প্লেলিস্টে স্যরের গান সব সময়ে থাকে।
প্র: ওঁর ছবির জন্য তো নিজেকে বদলে ফেলেছেন!
উ: পরিশ্রম করেছি অনেক। অন্য ভাষা শিখেছি। গায়ের রং কালো করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে বসে ট্যান হয়েছি! ঘরে ঝাড়ু লাগানো, গোবর দেওয়া এ সবও শিখেছি।
প্র: ‘দঙ্গল’-এর পর জীবনে কতটা পরিবর্তন এসেছে?
উ: আগে আয়নার সামনে অভিনয় করতাম, এখন ক্যামেরার সামনে। আমি কোনও রেসের মধ্যে নেই, ভাল ফিল্মের সঙ্গে নিজেকে জুড়তে পারছি, সেটাই বড় পাওনা।
প্র: রাধিকা মদনের সঙ্গে সেটে বন্ডিং হল?
উ: প্রথম দিন রাধিকাকে দেখেই বুঝেছিলাম, ও ভীষণ বকবক করে আর আমি ঠিক উল্টো, কম কথা বলি। ভেবেছিলাম, হয় আমি ওকে বোর করব, নয় ও আমাকে। কিন্তু যে দিন থেকে ওয়র্কশপ শুরু হল, আমাদের বন্ডিংও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকল। রাধিকা ভীষণ পজ়িটিভ। আমরা আলাদা হলেও মনের মিল থাকায় ভাল বন্ধু হয়ে উঠতে পেরেছি।
প্র: আপনার এক বোন আছে। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক কী রকম?
উ: একদম যেমন ‘পটাকা’র ট্রেলারে দেখেছেন! বোনের (শগুন) সঙ্গে আমার ভীষণ ঝগড়া হতো। কোথাও বেরোব, দু’জনের হয়তো একই ড্রেস পরার ইচ্ছে। ব্যাস... শুরু করে দিতাম! কেউ যখন আমাদের দু’জনকে কিছু গিফট দিত, সেই নিয়েও তুলকালাম হতো। ৪ বছর হল মুম্বইয়ে এসেছি। এত ধাক্কা খাওয়ার পর অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছি। এখন বোনকে মিস করি।
প্র: ‘দঙ্গল’-এর পরে ধাক্কা খাওয়া কমেছে?
উ: আগে আসলে আমার কাছে করার কিছু ছিল না। মুম্বইয়ে আসার পরে খাওয়াদাওয়া পরিমিত রাখতে হয়েছিল। ফল আর ড্রাই ফ্রুটসের এত দাম যে সেগুলো খাওয়া তো দূরের কথা, ছুঁতেও পারতাম না! বাবা তখন দিল্লি থেকে আমার জন্য অনেক ড্রাই ফ্রুট নিয়ে আসতেন। টাকাও দিতে চাইতেন, কিন্তু আমি ছোট থেকেই একটু অন্য রকম।
প্র: আমির খানের পরামর্শ নেন এখনও?
উ: কিছু অ্যাচিভ করলে আমির স্যরকে মেসেজ করে জানাই। ফতিমাকে (সানা শেখ) কল করি। মুম্বইয়ে ফ্ল্যাট কিনে আমির স্যরকে জানিয়েছিলাম। খুশি হয়েছিলেন। ‘পটাকা’র ট্রেলার দেখে আমাকে মেসেজ করেছিলেন, ভাল লেগেছে ওঁর। আশা করছি, ‘বধাই হো’র ট্রেলার দেখেও আমাকে মেসেজ করবেন (হাসি)।