করিশ্মা-সঞ্জয়ের তিক্ত বিবাহবিচ্ছেদ আজও চর্চায়।
তাঁর বিয়ে, অসুখী দাম্পত্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এবং প্রবল কাদা ছোড়াছুড়ির বিচ্ছেদ নিয়ে এক সময়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে বিস্তর। করিশ্মা কপূর ও ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরের সেই বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আজও চর্চা নেহাত কম নয়। সে সময়ে আদালতে করিশ্মার জবানিতে বেরিয়ে এসেছিল গার্হস্থ্য হিংসার একের পর এক শিউরে ওঠা তথ্য। জানেন কি, এক বার নিজের মাকে করিশ্মাকে চড় মারতে বলেছিলেন সঞ্জয়?
তখন করিশ্মা অন্তঃসত্ত্বা। সেই অবস্থাতেই সঞ্জয় তাঁর গায়ে হাত তুলতে বলেছিলেন অভিযোগ কপূর-কন্যের। আদালতে বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় ছবির নায়িকা বলেন, “সঞ্জয়ের মা অর্থাৎ আমার শাশুড়ি আমার জন্য একটি পোশাক কিনে এনেছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে সেটি আমার গায়ে আঁটছিল না। সেই অপরাধে সঞ্জয় মা-কে আমায় চড় মারতে বলে!” করিশ্মা আরও অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সঞ্জয়। এমনকি, ছেলের এ ভাবে একাদিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকায় তাঁর মায়ের প্রচ্ছন্ন মদত ছিল বলেও দাবি অভিনেত্রীর।
করিশ্মার সূত্রেই সম্পর্কের সুতোয় বাঁধা পড়ার কথা ছিল বলিউডের দুই হাই-প্রোফাইল পরিবার বচ্চন ও কপূর খানদানের। অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগদান হয়ে গিয়েছিল রাজ কপূরের নাতনী করিশ্মার। কিন্তু অজ্ঞাত কোনও কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। ২০০৩ সালে মহা ধুমধাম করে করিশ্মার বিয়ে হয় পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয়ের সঙ্গে। দুই সন্তান সামাইরা ও কিয়ানের মা-বাবা হন তাঁরা। এর পরে ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। পারিবারিক নির্যাতনের একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসে সেই মামলায়।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে করিশ্মাকে বিয়ে করেছিলেন সঞ্জয়। করিশ্মার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পরে সঞ্জয় ফের বিয়ে করেছেন প্রিয়া সচদেবকে। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে।