Entertainment News

‘বিয়ের পর পঞ্জাবি-দক্ষিণী, দু’ধরনের খাবারের সঙ্গে ব্যালান্স করতে হয়’

মুম্বই থেকে বললেন শেফ এষা দেওল। এষার শেফ হওয়ার নেপথ্য গল্প শুনলেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।বিয়ে, স্বামী, সংসার, সন্তানের পর কামব্যাক। এষা দেওল। শর্ট ফিল্ম ‘কেকওয়াক’-এ দেখা যাবে তাঁকে। মুম্বইতে তাঁর কামব্যাকের কথা জানার পর থেকে তিনি যারপরনাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার মাঝেই কথা বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৫
Share:

এষা এবং ভরত। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

বিয়ে, স্বামী, সংসার, সন্তানের পর কামব্যাক। এষা দেওল। শর্ট ফিল্ম ‘কেকওয়াক’-এ দেখা যাবে তাঁকে। মুম্বইতে তাঁর কামব্যাকের কথা জানার পর থেকে তিনি যারপরনাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার মাঝেই কথা বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।

Advertisement

শর্ট ফিল্ম দিয়েই কি এষা দেওলের কামব্যাক?

এষা: কামব্যাক হিসেবে দেখছি না বিষয়টা। আমি ভেবেচিন্তেই ব্রেক নিয়েছিলাম। তবে, শর্ট ফিল্মে কাজ করা একটা নতুন এক্সপেরিয়েন্সের মতো। নিশ্চয়ই এক্সাইটিং কিছু হবে! দেখা যাক। আর শর্ট ফিল্মের ক্ষেত্রে শুটের দিনগুলো অনেক কম। এ জন্য আমি খুশি। এখন আমার জন্য দিনগুলো খুব জরুরি। আমি মেয়েকে সময় দিতে চাই বলেই বড় ছবির কথা এই সময় ভাবছি না।

Advertisement

আপনি এই শর্ট ফিল্মে এক জন মহিলা শেফের চরিত্রে। নিজে কতটা খেতে ভালবাসেন?

এষা: আমি খেতে ভালিবাসি। তবে, বিয়ের পর থেকে আমাকে দু’বাড়ির খাওয়ার ধরনটা ব্যালান্স করে চলতে হয়।

যেমন?

এষা: আমার শশুরবাড়ি পাক্কা পঞ্জাবি পরিবার। চটপটা, স্পাইসি রান্নার চল। ওখানে কিচেনের সঙ্গে একটা জমজমাট ব্যাপার থাকে। অন্য দিকে, আমি বেড়ে উঠেছি মায়ের আদর্শে। সেখানে বরাবর শিখেছি স্টিম, হাল্কা, হেলদি খাবার খেতে। আমি দুটোকে ব্যালান্স করে চলি। তবে জাঙ্ক ফুড এক্কেবারেই খাই না।

আরও পড়ুন, এষার সতীন অনিন্দিতা! সত্যি নাকি?

এই সময় মেয়েদের এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে খুব কথা হচ্ছে। অথচ এ দেশে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স তো বেড়েই চলেছে!

এষা: খুবই ঠিক কথা। এ কথা ভেবেই আমি রামকমলকে বলেছিলাম ‘কেকওয়াক’এর কথা। এই প্রজন্মের এক জন নারীর ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে ‘কেকওয়াক’-এ। তখন রামকমল আমার মায়ের বায়োগ্রাফি লেখার জন্য আমারই সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল। হঠাৎ করেই তার মাথায় ছবির আইডিয়াটা আসে। রামকমল চেয়েছিল চরিত্রটা আমি করি। এই ছবিটা আজকের সময়ে মহিলাদের কথা ভেবেই করা। খুব বেশি ছবি নিয়ে বলতে পারব না এখন। বললে, ছবি দেখার মজা চলে যাবে। তবে এই ছবির মাধ্যমে মহিলাদের জন্য, মহিলাদের প্রতি খুব স্ট্রং মেসেজ দেওয়া হয়েছে।


‘ইন মাম্মি মুড’। এই ছবিটি শেয়ার করে এ কথাই লিখেছেন এষা। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

আপনি শুট করলে রাধ্যা কার কাছে থাকবে?

এষা: রামকমল যখন প্রথম শুটের কথা বলে, আমি ওকে বলেই দিয়েছিলাম, এত ছোট মেয়েকে রেখে লম্বা শুটে আমি যেতে পারব না। কিন্তু ও নাছোড়বান্দা। তখন প্রযোজক অরিত্র দাস আমার সুবিধামতো স্কেডিউল ঠিক করে দেয়। আমার বিপরীতে রয়েছেন ভারতীয় টেলিভিশনের চেনা মুখ তরুণ মলহোত্র। এটা ঠিক, আমি ইন্টেরেস্টিং কাজ করতে চাই। সেটা ছবি হতে পারে, নাচের কিছু হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার কোনও তাড়া নেই। এখন রাধ্যা আমার প্রায়োরিটি। আমার এতেই আনন্দ।

সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে প্রশ্ন করায় চুপ করে গেলেন ‘ধুম’ নায়িকা। তার পর বললেন, ‘‘প্লিজ প্রশ্নগুলো ‘কেকওয়াক’ নিয়েই হোক। এর বেশি কথা বলতে চাই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement