‘লভ অ্যাকচুয়ালি’ ছবির একটি দৃশ্যে এমা থম্পসন। ছবি: ইউটিউব।
বরাবরই তিনি ঠোঁটকাটা। ১৯৯৩ সালে অস্কারও জিতেছিলেন এমা থম্পসন। এ হেন এমার মেয়েকেই গত বছরে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। সম্প্রতি একটি রেডিয়ো চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয় নিয়েই সরব হলেন হলিউড অভিনেত্রী।
গত বছরে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডে টিউবে ভ্রমণ করার সময়েই তাঁর মেয়ে গায়া ওয়াইজের সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন এমা। ওই রেডিয়ো চ্যানেলে এমার অকপট স্বীকারোক্তি— ‘‘টিউবের ভিতরেই আমার মেয়ের সঙ্গে জঘন্য এই ঘটনাটি ঘটে। গায়া তখন খুবই নার্ভাস হয়ে পড়েছিল। ঘটনা ঘটার পরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় বহু ক্ষণই ও আন্ডারগ্রাউন্ডের ভিতরই ছিল।’’
এমার মেয়ে গায়া তখন ১৭ বছরের। পুরো ঘটনায় মেয়ের দোষই দেখছিলেন এমা। কারণ ঘটনার বিন্দু বিসর্গও সে তাঁর মায়ের কানে তোলেনি। আর বললেন— ‘গায়া এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছিল না।’
এমা আরও বলছিলেন, ‘‘বিষয়টায় মর্মাহত তো হয়েইছিলাম। তার থেকেও বেশি ভেঙে পড়েছিলাম এই ভেবে যে, ও রকম একটা অবস্থায় মেয়েটা আমাকে একটা ফোনও করেনি। আর আমরা মেয়ে হয়ে লজ্জার বিষয়টাই বেশি ভাবি। আর তাই ওই ক্রিমিনালগুলোর মুখের উপর বলতে পারি না ‘কেন এমনটা করছ?’’’
মেয়ে গাইয়াকে সঙ্গে নিয়ে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমা। ছবি: সংগৃহীত।
এখানেই থেমে না থেকে এমার বক্তব্য ‘‘আমরা এতটাই ভেঙে পড়ি যে ওই মুহূর্তেই প্রতিবাদ জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলি। আর সেই জন্যই এই ক্ষতগুলো দিনের পর দিন আমাদের বইতে হয়।’’
আরও পড়ুন: ‘ভালবাসার বন্ধন’, কিন্তু কাদের সঙ্গে? ছবি শেয়ার করলেন ঐশ্বর্যা
আরও পড়ুন: ‘এমন পোশাক কেন পরেন?’ ফের ট্রোলড্ পরিণীতি
দিন কয়েক আগেই হলিউডের প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টেইনের নামে ভুরি ভুরি যৌন অত্যাচারের অভিযোগ আনেন অভিনেত্রী এবং ফিল্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা সাধারণ মহিলা কর্মীরা। তোলপাড় হয় গোটা ফিল্মি দুনিয়া। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন নিশ্চুপ থাকার পর, নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছিলেন হার্ভি।
তবে এমার ঝুলিতে টিপস রয়েছে। আর তা-ই হতে পারে যৌন হেনস্থা ঠেকানোর মক্ষম উপায়। তাঁর কথায় ‘‘আগে আমাদেরই বুঝতে হবে। ওই সুড়সুড়িগুলো কে চিনে আমাদের নখদর্পণে আনতে হবে। যাতে কড়া হাতে এর মোকাবিলা করা যায়।’’
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের সমস্ত গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)