সন্তু মুখোপাধ্যায় (১৯৫১-২০২০)।
মাঝে দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিছু দিন আগেই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিলই কিন্তু তার মাঝে বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাড়িতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা গেলেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তাঁর দুই মেয়ে স্বস্তিকা ও অজপা মুখোপাধ্যায়।
তরুণ মজুমদারের ‘সংসার সীমান্ত’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। তার পর তপন সিংহের ‘রাজা’ ছবি দিয়ে নায়ক হিসেবে তাঁর ডেবিউ হয়। ‘হারমোনিয়াম’, ‘গণদেবতা’-র মতো জনপ্রিয় ছবিতেও অভিনয় করেছেন সন্তু। সিনেমার পাশাপাশি থিয়েটার ও ধারাবাহিেকও কাজ করেছেন। ‘জন্মভূমি’তে তাঁর অভিনীত রতিকান্ত চরিত্রটি আইকনিক। সাম্প্রতিককালে ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘জলনূপুর’, ‘কুসুমদোলা’, ‘অন্দরমহল’-সহ অসংখ্য সিরিয়ালে তিনি অভিনয় করেছেন। অসুস্থ হওয়ার আগে ‘নকশি কাঁথা’, ‘মোহর’ ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন। ‘মোহর’ করার সময়েই সন্তু নির্মাতা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেন, তিনি আর পারছেন না। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক। গত মাস দেড়েক আর কাজ করার মতো শারীরিক অবস্থা ছিল না সন্তুর। তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সাঁঝবাতি’।
লীনার কথায়, ‘‘উনি কোনও দিন অভিনয় করতেন না। সবটাই ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। আমাদের কাছে ওঁর কোনও বিকল্প নেই। টেলিভিশনে উনি অমিতাভ বচ্চন। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে খানিক একা হয়ে গিয়েছিলেন। নাতনি অন্বেষাও বাইরে চলে যাওয়ায় নিঃসঙ্গ বোধ করতেন। একাকিত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলতেন, আসলে শরীরটাই খুব বেহাল।’’
সন্তুর ভাই সুমন্তর কথায়, ‘‘দাদার চলে যাওয়া খুব দুঃখের। তবে শেষের দিকে তেমন যোগাযোগ ছিল না।’’ সন্তুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার রাতে কেওড়াতলায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।