সতেরো বছর আগেকার ভিডিয়োয় মন্তব্য ভেসে এল, “যুগের থেকে অনেক এগিয়ে। এই জন্যই বলি, একতা মা আসলে দূরদর্শী!” -সংগৃহীত
ফুলশয্যার রাতে স্বামীর গোপন সম্পর্কের কথা প্রথম জানল স্ত্রী। তার পর দাঁড়িয়ে দেখল সেই দৃশ্য, যেখানে তারই সামনে অন্য এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হল সদ্য বিয়ে করা স্বামী! বহুমুখী সামাজিক জটিলতার মধ্যে এ দৃশ্য এখনকার সময়ে অস্বাভাবিক না-ও ঠেকতে পারে। কিন্তু জানা যায়, সবটাই ঘটেছিল সতেরো বছর আগে। টেলিভিশনের পর্দায়। ২০০৫ সালের এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ক্যায়সা ইয়ে প্যায়ার হ্যায়?’-এর দৃশ্য এটি। সমাজমাধ্যমে হঠাৎ ভাইরাল এত বছর পর। লোকে অবাক হয়ে দেখছেন আর ভাবছেন, এই সব দেখে ফেলেছেন ছোটবেলায়? তা হলে এখন আর টেলিভিশন ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ কী?
ধারাবাহিকের সেই ভাইরাল ক্লিপ দেখে হায় হায় পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ছে একতা কপূরের উপর। যে হেতু তিনিই ‘ক্যায়সা ইয়ে প্যায়ার হ্যায়?’ পরিচালনা করেছেন। সতেরো বছর আগেও এই ‘বিকৃতি’ সম্প্রচার করেছিলেন তিনি? মা-ঠাকুমার সঙ্গে শিশুরাও বসে দেখেছে এ সব? নানা প্রশ্ন ভিড় করছে মানুষের মনে, যার প্রতিফলন সমাজমাধ্যমের দেওয়ালে দেওয়ালে।
ধিক্কার জানাচ্ছেন এক দল। আর এক দল আবার মজা পাচ্ছেন। মন্তব্য ভেসে আসছে, “তবে? সব দোষ এ যুগকে দিলে হবে? একতা তো আগেই করে গিয়েছেন!”
ভিডিয়োয় দেখা যায়, সদ্যবিবাহিত দম্পতি অঙ্গদ এবং কৃপা তাদের ফুলশয্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুরুতে এটিকে স্বাভাবিক দৃশ্য বলেই মনে হবে। দর্শকের তরফের কৌতূহলী হওয়ার সুযোগ থাকে নবদম্পতির দ্বিধা থরথর প্রথম রাত নিয়ে। যে দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন মহম্মদ ইকবাল খান এবং নেহা বম্ব। কিন্তু তার পরই চমক। অঙ্গদ নতুন আর এক মহিলার সঙ্গে কৃপার পরিচয় করিয়ে দেয়। তার পর স্ত্রীকে বলে, “যা হবে, এই ঘরেই হবে। তোমার চোখের সামনে হবে।”
কৃপা শুরুতে চুপচাপ ছিল। কিন্তু এ বার বলে ওঠে, “ওই মেয়েটি যদি বেরিয়ে না যায়, তা হলে আমিই চলে যাব।” যদিও লোকলজ্জার ভয়ে কিছুই করতে পারে না সে শেষমেশ। স্বামী যখন সেই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়, ঘরের এক কোণে বসে কাঁদতে দেখা যায় কৃপাকে।
শুনতে ভয়াবহ ঠেকলেও, একতার ভক্তদের ভাল লেগেছিল এই দৃশ্য। তাঁদেরই কেউ কেউ ভেসে ওঠা সতেরো বছর আগেকার ভিডিয়োয় মন্তব্য করলেন, “যুগের থেকে অনেক এগিয়ে। এই জন্যই বলি, একতা মা আসলে দূরদর্শী!”