‘সেরা সর্বজনীন’-এর বিচারে উপস্থিত ছিলেন ‘দ্য বেঙ্গল’-এর তিন সদস্য অরিন্দম শীল, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী এবং জুন মালিয়া।
আনন্দবাজার অনলাইন আয়োজিত ‘সেরা সর্বজনীন’-এর পুজোর লড়াই। অষ্টমী-সন্ধ্যায় তিন পুজোর মুকুটে সেরার পালক। এ ছাড়াও সামাজিক কাজ, পরিবেশ-বান্ধব পুজো, নিরাপত্তা-সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ পুরস্কার। অংশগ্রহণকারী ৩০০টি বারোয়ারি পুজোর ভিড়ে জহুরির চোখে বেছে নেওয়া সেরাদের। আর সমস্তটার দায়িত্বে চার জনের বিচারক মণ্ডলী।
অনুষ্ঠানটির নিবেদনে ছিল ‘দ্য বেঙ্গল।’ প্রতিযোগিতার চার বিচারকের মধ্যে তিন জনই এই সংস্থার সদস্য। পরিচালক-প্রযোজক অরিন্দম শীল, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী এবং অভিনেত্রী জুন মালিয়া। চতুর্থ জন আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদক অনিন্দ্য জানা। দীর্ঘ বিচারপর্ব পেরিয়ে সেরার সেরা বড়িশা ক্লাব। দ্বিতীয় স্থানে রাজডাঙা নব উদয় সঙ্ঘ। তৃতীয় চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন।
করোনা-কালের পুজোয় এই প্রতিযোগিতার হালহকিকত উঠে এল ‘দ্য বেঙ্গল’-এর সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ ভুতোরিয়ার কথায়। সন্দীপ বলেন, ‘‘গত দু’বছর আমাদের সকলের জন্য বেশ কঠিন সময় ছিল। পুজোর উদ্যাপনও আগের মতো হয়নি। এ বছর আনন্দবাজার অনলাইনের উদ্যোগে ‘সেরা সর্বজনীন’-এর মাধ্যমে আমরা, ‘দ্য বেঙ্গল’ মানুষকে জানাতে চেয়েছি বিভিন্ন পুজো এবং তাদের অভিনবত্বের কথা। অনলাইনেই বিচারপর্ব। বাছাইও হয়েছে নিখুঁত ভাবে। বিভিন্ন পুজোর অভিনব দিকগুলি তুলে ধরতে পেরে এবং নির্বাচিত পুজোগুলিকে সেরা পুজোর সম্মান দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’’
‘দ্য বেঙ্গল’-এর সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ ভুতোরিয়া।
কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির অন্যতম ‘দ্য বেঙ্গল’। বিশিষ্ট নাগরিক ও চিন্তাবিদদের সঙ্গে নিয়ে এই সংস্থা দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করছে সমাজ-সংস্কৃতির কল্যাণে। কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় প্রবীণ নাগরিকদের পাশে থাকার ‘প্রণাম’ প্রকল্পটি এই সংস্থারই। বর্তমানে যার সদস্য সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি।
‘দ্য বেঙ্গল’-এর সভাপতি হরিমোহন বাঙ্গুর।
আশার আলো জ্বালানোই তাঁদের কাজ। কোভিডের দুর্যোগের মধ্যেই শারদোৎসব ঘিরে সে ভাবেই আশ্বাস বাণী শোনালেন ‘দ্য বেঙ্গল’-এর সভাপতি হরিমোহন বাঙ্গুর। তাঁর কথায়, ‘‘করোনা অতিমারি ক্রমশ অসুরের রূপ নিয়েছে। কত মানুষের হাহাকার, কত মানুষের কান্না, চিতার আগুনের লেলিহান শিখা আর কবরের মাটি যেন আমাদের ক্রমশ করে তুলেছে অসহায়। কিন্তু প্রকৃতি আপন খেয়ালে সাজিয়ে তুলেছে তার বাংলাকে। দিগন্ত-বিস্তৃত ক্ষেতে কাশ ফুলের দোলা, পুকুরের সবুজ জলে পদ্ম ফুলের ভেলা, শিউলি ঝরা ভোরের মিষ্টি গন্ধ— কিছুতেই নেই তার ফাঁকি।’’ সব নিয়ম মেনে চললে করোনামুক্ত এক নতুন যুগও আসবে, নিশ্চিত হরিমোহনবাবু।