কৈলাস খেরের হাত ধরে বলিউডের ছোঁয়া লাগল শ্রীমা ভট্টাচার্যের গায়ে।
বলিউডের ছোঁয়া লাগল শ্রীমা ভট্টাচার্যের গায়ে। তাঁর নাম জুড়ে গেল বলিউডের গায়ক কৈলাস খেরের সঙ্গে। এই প্রথম বার পুজোয় বাংলা গান গাইলেন কৈলাস। সেই গানের ভিডিয়ো অ্যালবাম জুড়ে ধারাবাহিক ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ খ্যাত শ্রীমা। অভিনেত্রীও এই প্রথম পুজোর গানে অংশ নিলেন। কেমন সেই অভিজ্ঞতা? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘‘এ যেন পুজো আসার আগেই পুজো পুজো গন্ধ। পুজোর সাজ, বাড়িতে প্রতিমার আবাহন, কলাবউ স্নান, পুজোর আয়োজন, ধুনুচি নাচ... এই অনুভূতি বলে বোঝানোর নয়।’’
লাহা বাড়িতে গানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। গান উদ্বোধনে শুক্রবার শহরে এসেছিলেন কৈলাস খের। ‘আল্লা কে বান্দে’ গায়কের অন্ধ ভক্ত শ্রীমা। মুখোমুখি হওয়ার পর ঠিক কী অনুভূতি হয়েছিল? উচ্ছ্বসিত শ্রীমার বললেন, ‘‘সেই ঘোরটাই এখনও কাটেনি। এখনও শুক্রবারের সন্ধ্যা মন জুড়ে। মন খারাপ হলেই হেডফোনে শুনি কৈলাসজির ‘তেরি দিওয়ানি’, ‘সাঁইয়া’ কিংবা ‘বাহুবলী’র ‘জয় জয়কারা’ গান। বাস্তবের শিল্পী একদম মাটির কাছাকাছি। কী সুন্দর আমাদের সবার সঙ্গে পরিচয় করলেন। আমার জীবনে ইতিহাস তৈরি হল।’’
ইতিমধ্যেই পরিবার, পরিজন, বন্ধুরা বহু বার দেখে ফেলেছেন কৈলাস-শ্রীমার যুগলবন্দি। বন্ধুদের দাবি, পুজোর আগেই অভিনেত্রী তাঁদের পুজো উপহার দিয়ে দিয়েছেন। মিউজিক ভিডিয়োয় কখনও তিনি সবুজ জামদানিতে উজ্জ্বল। কখনও লাল-তসররঙা ব্রোকেডে হাতে ত্রিশূল নিয়ে সাক্ষাৎ দেবী দুর্গা! তিনিই পরে লাল পাড় সাদা জমিনের শাড়ি পরে সিঁদুর খেলায় মত্ত। নিজের চোখে কোন সাজ সেরা? শ্রীমার জবাব, ‘‘সিঁদুর খেলার সাজ আমার সবচেয়ে পছন্দের। বরাবর আমার পুজোর সাজের একটি দিন লাল-সাদা রঙে রঙিন।’’