অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বিকল বহু দিনই। তবে শহরের তাপমাত্রা চল্লিশ ছাড়ানোয় শুক্রবার গরমে গলদঘর্ম অবস্থা দর্শকদের। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েক জন। তার পরেই অ্যাকাডেমির অব্যবস্থা নিয়ে সমাজমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন নাট্যব্যক্তিত্বরা।
শুক্রবার রাতে সমাজমাধ্যমে নাট্যপরিচালক দেবেশ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, “অবিলম্বে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস বন্ধ করা উচিত। আজ অভিনয় চলাকালীন ন’জন দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র দীর্ঘদিন কাজ করছে না।” অবিলম্বে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র মেরামত করার দাবি জানান তিনি।
শুক্রবার যে সংস্থা নাট্যোৎসবের আয়োজক ছিল, তার কর্ণধার তথা নাট্যব্যক্তিত্ব বিলু দত্ত নাম করেই তীব্র আক্রমণ করেন অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষকে। তাঁর আক্রমণের নিশানায় মূলত দু’জন। ফেসবুক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, “অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে প্রসূন মুখোপাধ্যায় আর কল্লোল বোস। এঁরা অ্যাকাডেমিকে শেষ করেছে।” আগে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “বন্ধ করে দেওয়া হোক অ্যাকাডেমি, না হলে প্রচুর লোক মারা যাবেন গরমে নাটক দেখতে দেখতে।”
১৪ এপ্রিল নাট্যোৎসবের প্রথম দিনে ‘মনিকর্ণিকায় মণিকা’র শো চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। যার পরেই সমাজমাধ্যমকে হাতিয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন থিয়েটারকর্মীরা।
দিন কয়েক আগে অ্যাকাডেমিতে ‘বিনোদিনী অপেরা’র শো চলাকালীনও বাতানুকূল যন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শোয়ের মাঝপথে। দর্শকাসনে অনেকেই কাশছিলেন। দু’এক জন নাটকের মাঝেই চিৎকার করে বলেন, “এসিটা চালান! বসে থাকা যাচ্ছে না।” তার পর অবশ্য চালু হয়। আবার কিছু ক্ষণ পর ঘামতে শুরু করেন দর্শক। অভিনেতা ঋদ্ধি সেনও কিছু দিন আগে ‘হ্যামলেট’-এর শো চলাকালীন বাতানুকূল যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
এ বিষয়ে প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি মেসেজেরও।