কঙ্গনা রানাউত।
পঞ্জাবি তারকাদের পর কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে সরব দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি। ইতিমধ্যেই বলিউড অভিনেত্রীকে তাঁর বিতর্কিত টুইটের জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়েছে তারা। দাবি, ‘কৃষকদের মা’ হিসেবে পরিচিত ‘শাহিনবাগ দাদি’কে নিয়ে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। এক জন প্রবীণাকে এ ভাবে হেয় করার অধিকার তাঁর নেই।
অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কেন এই আইনি পদক্ষেপ? কমিটির যুক্তি, কঙ্গনা যদি তাঁর বাংলো ভাঙা নিয়ে মুম্বই কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থন চাইতে পারেন তাহলে দেশের কৃষকদেরও অধিকার আছে নয়া কৃষি বিল নিয়ে সংবিধান মেনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার। সেই প্রতিবাদকে, দেশের কৃষকদের কঙ্গনা এ ভাবে অবমাননা করতে পারেন না।প্রসঙ্গত, গত ২৭সেপ্টেম্বর দেশে নয়া কৃষি আইন পাশ হওয়ার পরেই আইন বাতিলের দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের স্লোগানে এখন রাজধানীর চরিদিকে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশজুড়ে পথে নেমেছেন কৃষকেরা। তখনই এই প্রতিবাদকে ‘দেশদ্রোহিতা’ বলে দাগিয়ে দেন কঙ্গনা।শুধু এটুকুই নয়। সাম্প্রতিক টুইটে অভিনেত্রী আক্রমণ করতে ছাড়েননি শাহিনবাগ খ্যাত ৮২ বছরের বিলকিসকেও।
বলেছেন, বিলকিস এই আন্দোলনেও হাঁটছেন! ১০০ টাকার বিনিময়ে নাকি বিভিন্ন প্রতিবাদে এঁদেরকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। টুইটে লেখেন, ‘লজ্জা...কৃষকের নামে যে যার আখের গোছাচ্ছে। আশা করি, দেশদ্রোহীরা যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখবে আমাদের সরকার। তার ফলে শাহিনবাগের মতো আরও একটা হিংসার সূত্রপাত ঘটবে না আশা করি। রক্তলোভীদের দল ও টুকরে গ্যাংকে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করার থেকে আটকানো উচিত।’ ডিএসজিএমসি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি বিচার করে সরকার যেন অতি দ্রুত কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: বলিউডের ছবিতে যে প্রাণ রয়েছে, হলিউডে সেটা আর নেই: ক্রিস্টোফার নোলান
লকডাউনের শুনশান রাস্তা, কাছাকাছি প্রীতি এবং স্বামী জিন