আপনার পাল্লা কি ফেলুদার দিকে ভারী?
বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দার অভাব নেই। ব্যোমকেশ, কিরীটি, ফেলুদা— তালিকা লম্বা। আপনি কোন ক্যাম্পের? ফেলুদা নাকি ব্যোমকেশ? এ নিয়ে তর্কও করে বাঙালি। যদি আপনার পাল্লা ফেলুদার দিকে ভারী হয়, তা হলে আপনার জন্য সুখবর।
সত্যজিত্ রায়ের সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব ছিল কি? লম্বা, চারমিনার প্রিয়, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির এই চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের কোনও চরিত্রের কি মিল ছিল? ছোটবেলা থেকে ফেলুদার পোকা সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়েকে এই প্রশ্নটা ভাবাত। বিজ্ঞাপনের ছবি তৈরি তাঁর পেশা। কিন্তু সত্যি কিছু না থাকলে, ফেলুদা কোথা থেকে এল, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তথ্যচিত্র ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস্ অব রে’স ডিটেকটিভ’ তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন তিনি। এক ঘণ্টা ৫৬ মিনিটের এই তথ্যচিত্র আগামী ৭জুন দেখানো হবে নন্দন এবং প্রিয়া সিনেমা হলে।
সাগ্নিকের কথায়, ‘‘ভারত থেকে সেই অর্থে কোনও ফিকশনাল ক্যারেক্টারের ওপর বায়োপিক এই প্রথম। এমন কাজ আগে হয়েছে বলে তো আমি জানি না। ফেলুদা কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু আমি সত্যি বলে বিশ্বাস করেছি। সত্যি কোথাও কিছু না থাকলে চরিত্রটা কেন আছে, সেটা ভাবতে ভাবতেই ফেলুদার জার্নির একটা ফরম্যাট তৈরি করে ফেলেছি।’’
কখনও সত্যজিতের সহকারী পরিচালক রমেশ সেনকে নিয়ে বেনারস গিয়ে মগনলাল মেঘরাজের বাড়ি খুঁজতে বলেছিলেন সাগ্নিক। কখনও বা সন্দীপ রায়, কুশল চক্রবর্তীকে নিয়ে রাজস্থানে গিয়েছেন অতীতের খোঁজে। সাগ্নিক দাবি করলেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, আবির চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড়পর্দার ফেলুদারা এমন কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন, যা এর আগে কোথাও বলেননি। সব মিলিয়ে পরিচালক নন। লেখক বা অলঙ্করণ শিল্পী হিসেবে সত্যজিত্কে এই তথ্যচিত্রে দর্শক অনেক বেশি করে পাবেন বলে জানালেন সাগ্নিক।
আরও পড়ুন, ‘সহবাসে’র শুটিং শুরু করলেন ইশা-অনুভব
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)