২৫ বছর আগে বক্স অফিসে ঝড়ের মতো আছড়ে পড়েছিল ‘বাজিগর’। বক্স অফিসের বহু রেকর্ড ভেঙেছিল সুপারহিট এই ফিল্ম। চিত্রনাট্য যেমন শক্তিশালী ছিল, তেমনই হিট ছিল এর প্রতিটা গানও।
এই ফিল্মের পর থেকেই রীতিমতো হিট হয়ে যায় কাজল-শাহরুখ খান জুটি। আর এই ফিল্ম দিয়েই বলিউডে পা রাখেন শিল্পা শেট্টি।
কিন্তু জানেন কি এই ফিল্মে কাজল-শাহরুখ-শিল্পা এই তিন জনের কেউই জায়গা পেতেন না যদি না শ্রীদেবী সরে দাঁড়াতেন ফিল্ম থেকে!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। পরিচালক আব্বাস-মস্তান প্রথমে নাকি নায়িকার ভূমিকায় শ্রীদেবীকেই ভেবেছিলেন। শ্রীদেবী সে সময় বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী।
তাঁর স্টারডমের কাছে নগণ্য ছিলেন কাজল, শিল্পারা। শাহরুখও খুব একটা নাম করতে পারেননি তখন।
পরিচালক আব্বাস-মস্তান যখন শ্রীদেবীর কাছে এই ফিল্মের অফার নিয়ে যান, স্ক্রিপ্ট শুনেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল শ্রীদেবীর।
কিন্তু তাঁর প্রথম অপছন্দ ছিলেন শাহরুখ খান। শ্রীদেবী সাফ জানিয়ে দেন, কোনও আনকোরা জুনিয়র অভিনেতার সঙ্গে তিনি অভিনয় করতে পারবেন না।
তাঁকে যদি ফিল্মে নিতেই হয়, তা হলে কোনও জনপ্রিয় হিরো নিতে হবে। পরিচালকদের নাকি এমনই শর্ত দিয়ে বসেছিলেন শ্রীদেবী।
পরিচালক আব্বাস-মস্তান তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, এর আগে সলমন খান, আমির খান এবং অনিল কপূরের কাছে তাঁরা প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু এই ফিল্মে নায়কের চরিত্র নেগেটিভ হওয়ায় তাঁরা কেউই এই প্রস্তাবে রাজি হননি। একমাত্র শাহরুখ খান প্রস্তাব ফিরিয়ে দেননি।
কিন্তু কোনও কিছুর বিনিময়েই শ্রীদেবী এই ফিল্মে শাহরুখের রিপরীতে অভিনয়ে রাজি হননি। প্রথমে ঠিক ছিল, শ্রীদেবী যৌথ ভূমিকায় অভিনয় করবেন। অর্থাত্ প্রিয়া চোপড়া এবং সীমা চোপড়া— এই দুই বোনই হবেন তিনি।
কিন্তু উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে পরিচালককে স্ক্রিপ্টে কিছুটা বদল আনতে হয়। শাহরুখের বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে কাজল এবং অন্য চরিত্রে শিল্পাকে নেওয়া হয়।
জানা যায়, শ্রীদেবী নাকি প্রথমে একাই এই ফিল্মের জন্য এত টাকা চেয়েছিলেন যে, সেই টাকায় শাহরুখ, কাজল এবং শিল্পা- এই জনেরই পারিশ্রমিক হয়ে যায়।