বলিউডের ভিলেন। শুনলেই মনে হয়, এরকম লম্পট, দুশ্চরিত্র, খারাপ লোক আর নেই। প্রাণে মেরে ফেলতেও এরা তোয়াক্কা করে না। বাস্তব জীবনে তাঁদের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন কারা? পরিচয় করে নিন বলিউডের সেই দুর্ধর্ষ দুশমনদের জীবনসঙ্গিনীদের সঙ্গে।
আমজাদ খান। ‘গব্বর সিং’ সিনেমার ইতিহাসে অমর। তাঁর স্ত্রী শাইলা খান। ছোট্টবেলার প্রেমিকাকেই বিয়ে করেছিলেন আমজাদ। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্কুল জীবনেই। স্ত্রীকে পারসি ভাষাও পড়াতেন আমজাদ।
অমরীশ পুরী: বলিউডের ‘মোগাম্বো’-র জীবন সঙ্গী উর্মিলা দিবাকর। একটা সময় একই অফিসে চাকরি করতেন দু’জন। সেখানেই আলাপ হয় তাঁদের।
আশুতোষ রাণা: অভিনেত্রী রেণুকা সাহানে আশুতোষের স্ত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাদামাটা এই বলিউডি অভিনেত্রী। দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের।
ড্যানি ডেনজোংপা: রীতিমতো হাড়হিম করা ভিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী গাওয়াকে নিয়ে তিনি অত্যন্ত সুখী।
গুলশন গ্রোভার: প্রথম স্ত্রী ফিলোমিনা। তাঁদের এক সন্তানও হয়। পরবর্তীতে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। গুলশন বিয়ে করেন কাশিশকে। কিন্তু সেই বিয়েও ভেঙে যায়।
কবীর বেদী: চতুর্থ বিয়েটি সারলেন ৭০ পেরিয়ে। দীর্ঘ দিনের বন্ধু পরভিন দোসাঞ্জকে বিয়ে করেছেন তিনি।
পরেশ রাওয়াল: পরেশ রাওয়ালের স্ত্রী স্বরূপ সম্পত। এককালের মিস ইন্ডিয়া, পরবর্তীত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বরূপ। অভিনয়ও করেছেন কিছু ছবিতে। কলেজ জীবনের প্রেম তাঁদের।
প্রকাশ রাজ: ১৯৯৪ সালে ললিতা কুমারী নামে এক তামিল নায়িকার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রকাশের। ২০০৯ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এক সন্তানের মৃত্যুর কারণেই প্রকাশের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক ভাল ছিল না। বর্তমানে কোরিওগ্রাফার পুনি ভার্মাকে বিয়ে করেছেন প্রকাশ।
প্রাণ: বলিউডের ভিলেন বলতে প্রথমেই মনে আসে প্রাণের কথা। স্ত্রী শুক্লার সঙ্গে তাঁর গভীর ভালবাসার সম্পর্ক ছিল বলিউডের চর্চার বিষয়।
প্রেম চোপড়া: স্ত্রী উমার সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক প্রেমের। ৪৯ বছরের বিবাহিত জীবন তাঁদের।
রণিত রায়: ২০০৩ সালে ‘লখনউ সেন্ট্রাল’ অভিনেতার সঙ্গে বিয়ে হয় অভিনেত্রী নীলম সিংয়ের। দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের।
শক্তি কপূর: শিবাঙ্গী কোলাপুরের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ১৮ বছর বয়স মাত্র তখন শিবাঙ্গির। বাড়ি থেকে বহু বছর মেনে নেওয়া হয়নি এই বিয়ে।
কুলভূষণ খারবান্দা: স্ত্রী মাহেশ্বরী দেবী খারবান্দার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবন এই অভিনেতার।