রাণী রাসমণির চরিত্রে দিতিপ্রিয়া। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে রানি রাসমণি। ঘিয়ে রঙের শাড়ি আর সে কালের সাদা ঘটি হাতা ব্লাউজ। মাথায় ঘোমটা। কিন্তু মুখ ঢেকেছে নীল মাস্কে আর হাতে সাদা গ্লাভস। এক অন্য দিতিপ্রিয়া রায়। ফ্লোরে ঢোকার আগে। শুটের মাঝে বার বার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে আসছেন তিনি। রানিমা-র সুরক্ষা বলে কথা!
দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দিরের সেট থেকে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, “এই মাস্ক, গ্লাভস, একটু তো অসুবিধে হচ্ছে। তার ওপর লম্বা লম্বা সংলাপ বলতে হচ্ছে। চিত্রনাট্য পড়ার অভ্যেস তো চলেই গিয়েছিল। যদিও ছন্দে ফিরছে সব কিছু। তবে সকলের মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। শুটিং চলছে জোরকদমে।”
একটানা শুট। তাই যারপরনায় ব্যস্ত তিনি। অনেক দিন ধরেই ছটফট করছিলেন কাজে ফেরার জন্য। পড়াশোনার প্রসঙ্গ উঠতে অবশ্য বললেন, “আমার তো পরীক্ষা শেষ হয়নি। একটা এখনও বাকি। তবে লকডাউনে শুধু রেস্ট নিয়েছি। পড়াশোনাকেও লকডাউনে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এখন শুটের সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনাও করতে হচ্ছে। পরিশ্রম বেড়েছে।”
আরও পড়ুন: ভারতীয় এলাকা জুড়ে নতুন মানচিত্র পাশ হয়ে গেল নেপাল পার্লামেন্টে
সাবধানতার মার নেই, দিতিপ্রিয়া তাই সদা সতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
যত পরিশ্রমই হোক, শুটিংপাড়া ছন্দে ফিরেছে দেখে খুশি ‘রাসমণি’। বললেন, “রাসমণি পরিবারের সবাইকে দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে।”
ছবি আঁকা, সিনেমা দেখা, বই পড়া— এ সব নিয়েই মেতে ছিলেন লকডাউনে। এ বার রানি মা স্বমহিমায় তাঁর ভক্তকূলের কাছে ফিরছেন।