এ বার বিদায়ের পালা। ‘রানিমা’ হিসেবে পথ চলা থামবে দিতিপ্রিয়া রায়ের। আগামী ৪ জুলাই ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে সম্প্রচারিত হবে রাসমণি-র মৃত্যু।
দীর্ঘ ৪ বছরের যাত্রা। দিতিপ্রিয়ার ১৫ বছর বয়স থেকে প্রায় ১৯ বছর বয়স— বয়ঃসন্ধির পুরোটাই তাঁর কেটেছে ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োয়। শ্যুটের শেষ পর্যায়ে নানা স্মৃতি ভিড় করে এসেছে অভিনেত্রীর মনে। আবেগ ঝরে পড়ল তাঁর গলায়, “এই যাত্রার সবটাই আমার মনে থেকে যাবে। অনেক ভাল ভাল মুহূর্ত আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। এই ৪ বছরে প্রচুর কাজ শিখেছি। এ সব কিছু আমার সঙ্গে সারা জীবন থাকবে।”
২০১৭ সাল থেকে বাংলার ঘরে ঘরে ‘রানিমা’ হিসেবে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। দর্শকও ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছে অষ্টাদশী অভিনেত্রীকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দিতিপ্রিয়া বলেছেন, “আমি সকল দর্শককে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি জানি না আমি সত্যিই এত ভালবাসার যোগ্য কি না। আমার শুধু একটাই আবদার আপনাদের কাছে। রানিমার মৃত্যুর পরেও আপনারা এই ধারাবাহিকটি দেখবেন। কারণ আরও অনেক চমক অপেক্ষা করে রয়েছে।”
‘রানিমা’-র মৃত্যুর পরবর্তী সময় ধারাবাহিকের নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি উত্তর পর্ব’। গদাধরের জীবনের গল্পকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে চলেছে ধারাবাহিকের গল্প। আগামী দিনে গদাধর থেকে রামকৃষ্ণ হয়ে ওঠার সফরের সাক্ষী হতে চলেছেন দর্শক।
দিতিপ্রিয়া আপাতত কাজ করবেন না ছোট পর্দায়। তাঁর হাতে এখন ছটি। চারটি মু্ক্তির অপেক্ষায়। দু’টির কাজ এখনও অসম্পূর্ণ।