বাঁ দিকে দিশা এবং ডান দিকে সুশান্ত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং দিশা সালিয়ান অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যে আবারও নয়া মোড়। মৃত্যুর ঠিক আগেই নাকি মুম্বই পুলিশকে ফোন করেছিলেন দিশা, দাবি বিজেপি সাংসদ নিতেশ রানার। এমনকি দিশার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা অথবা দুর্ঘটনা...এ কথাও মানতে নারাজ তিনি।
গত ৮ জুন এক বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দিশার। এর ঠিক কিছু দিন পরেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় সুশান্তের। দিশা সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার ছিলেন। দিশার পরিবার এবং মুম্বই পুলিশ তাঁর মৃত্যুকে দুর্ঘটনার তকমা দিলেও সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি তদন্তে সিবিআইকে জানিয়েছিলেন দিশার মৃত্যুতে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত। তাঁর ভয় হচ্ছিল কোথাও না কোথাও তাঁর নামও জড়িয়ে যাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যে। সিদ্ধার্থ জেরাও এ-ও জানিয়েছিলেন সুশান্ত নাকি বারেবারেই বলছিলেন, “এ বার ওরা আমায় ছাড়বে না”। যদিও এই 'ওরা' আদপে কারা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি সিদ্ধার্থ।
এমতাবস্থায় দুই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড় তখন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিজেপি সাংসদ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নিতেশ বলেছেন, “দিশার মৃত্যু যদি আত্মহত্যা অথবা নিছকই দুর্ঘটনা হতো তবে দিশার মামলায় মুম্বই পুলিশকে কেন দু’বার তদন্তকারী অফিসার বদল করতে হল? কেনই বা দিশার মৃত্যুর তিন দিন পর ময়নাতদন্ত করা হল?” তাঁর আরও প্রশ্ন, “দিশার ফোনরেকর্ড বলছে তিনি শেষ ফোন করেছিলেন সাড়ে আটটার পর। দিশা মারা গিয়েছিলেন ৮ তারিখ গভীর রাতে। রাত সাড়ে আটটার পর দিশার ফোন বন্ধ ছিল কেন? দিশা মারা যাওয়ার পর সেই ফোন খোলা হয়েছিল কেন? কে-ই বা খুলেছিলেন?”
আরও পড়ুন- নাতি না নাতনি? করিনার দ্বিতীয় সন্তান নিয়ে মুখ খুললেন রণধীর
এখানেই থামেননি নিতিশ। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, দিশা নাকি মৃত্যুর আগে ফোন করেছিলেন মুম্বই পুলিশকেও। তাঁর কথায়, “দিশা হয়তো আঁচ করতে পেরেছিলেন তাঁর বিপদ আসন্ন। সে জন্যই হয়তো সাহায্যের জন্য ফোন করেছিলেন ১০০ নম্বরে। পুলিশের কাছে নিশ্চয়ই সেই ফোনের রেকর্ডও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুম্বই পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য পাননি দিশা।” সুশান্তের পাশপাশি দিশার মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিতিশ। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এক চিঠিতে দিশার প্রেমিক রোহন রাইকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “যে দিন দিশা মারা যান সেদিন রোহন সেই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। এখন ও মুম্বই ছেড়ে পালিয়েছে। আমার কাছেদ খবর রয়েছে ও মুম্বই ফিরতে ভয় পাচ্ছে। হতে পারে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি ওকে ভয় দেখাচ্ছে। আপনার কাছে আমার অনুরোধ ওকে নিরাপত্তা প্রদান করুন।”