কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দোড়গোড়ায় পুজো। একই সঙ্গে জুড়ে রয়েছে প্রতিবাদের রেশ। আরজি কর-কাণ্ডের ন্যায় বিচার হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে। প্রয়োজনে পুজোয় প্রতিমা দর্শন করতে বেরিয়েও নিজের মতো করে প্রতিবাদে সরব হতে হবে, দাবি আন্দোলনকারীদের। একই সুর কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। পুজোর সময়ে বেরোলেও মাথায় যেন একটা ফেট্টি বাঁধা থাকে। ফেট্টিতে লেখা থাকুক ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এ ভাবেই প্রতীকী প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন তিনি।
চলতি বছর পুজোর পরিস্থিতি অন্য রকম। এ বার মানুষ উৎসবে ভাসবেন বলে মনে করছেন না কমলেশ্বর। তিনি বলেন, “মানুষের মন ভাল নেই। পুজো নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু, যে পরিস্থিতি চলছে, উৎসবে ভাসার মানসিকতা মানুষের থাকবে বলে মনে হয় না। পুজো বা উৎসব যা-ই হোক, বিচারের দাবি উধাও হয়ে যাবে না।”
পুজো উপলক্ষে কোনও বারই বিশেষ কোনও পরিকল্পনা থাকে না পরিচালকের। আর এ বারের পুজোয় প্রতিবাদেই থাকছেন তিনি। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, উৎসবে শামিল না হলে কিছু মানুষ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। এই প্রসঙ্গে কমলেশ্বর বলেন, “বছরে পাঁচ দিনের উপর যদি একটা জাতির অর্থনৈতিক অবস্থা দাঁড়িয়ে থাকে, তা হলে সেটাই খুব চিন্তার কারণ। এমনিতেই চারদিকে আর্থিক বিপর্যয় চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছেছে। দুর্নীতি ও ভুল নীতিই সে জন্য দায়ী। আমার মনে হয় না উৎসবের সঙ্গে আর্থিক অবস্থার কোনও সম্পর্ক আছে। অর্থনীতি তো পাঁচ দিনের বিষয় নয়। ৩৬৫ দিনের মধ্যে শুধু পাঁচ দিন মানুষ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে থাকেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি ৩৬৫ দিনই মানুষ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন। হয়তো এই পাঁচ দিন সামান্য বিক্রিবাটার বৃদ্ধি হয়। কিন্তু সেটা কোনও ভাবেই স্থায়ী সমাধান নয়।”
তাই আরজি কর-কাণ্ডের জেরে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চলতি বছরের পুজোকে প্রতিবাদমুখী বলেই মনে করছেন পরিচালক তথা অভিনেতা।