দেব-মিঠুন
প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন টিআরপি নিয়ে, তেমনই কনটেন্ট নিয়ে। বাংলার প্রধান দুই বিনোদন চ্যানেলের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলতেই থাকে। ফিকশন শোয়ের ক্ষেত্রে টক্কর সমানসমান হলেও, নন-ফিকশনে জ়ি বাংলা এগিয়ে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের মুখ, নামী তারকা নিয়ে এসে গত এক বছর ধরে বাজিমাতের চেষ্টা করে চলেছে স্টার জলসা। সাম্প্রতিক নিদর্শন, ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র সিজ়ন টু’। যেখানে একসঙ্গে দেখা যাবে দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে। এই রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক দেব আর ‘মহাগুরু’র আসনে মিঠুন চক্রবর্তী। আর এক বিচারক মনামী ঘোষ। শোয়ের পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘মিঠুনদা ও দেবকে প্রথম বার একসঙ্গে ছোট পর্দায় আনতে পারাটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ওঁরাও খুব উত্তেজিত। নতুন কনসেপ্টও থাকছে।’’ গত রবিবার তিনজনকে নিয়ে প্রোমো শুট হয়েছে।
এই খবর থেকে দু’টি জিনিস স্পষ্ট— অতিমারি আবহে দেবের মতো তারকাও ছোট পর্দায় এলেন। দ্বিতীয়ত, দুই চ্যানেলের আকচা-আকচি চরমে। ‘ডান্স ডান্স...’ আসছে কমেডি রিয়্যালিটি শো ‘হাসিওয়ালা কোম্পানি’র স্লটে, যে কমেডি শো প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের ‘মীরাক্কেল’কে অনুসরণ করেই। দুই চ্যানেলই যখন কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে শো আনে, তখনও প্রকট হয়েছিল হয়েছিল কনটেন্টের দৈন্য। জ়ি অবশ্য ওই ধারাবাহিক বেশি দিন চালাতে পারেনি। এ বার কাদম্বরীদেবীকে নিয়ে ‘রবির নতুন বউঠান’ আনছে স্টার জলসা। একই বিষয়ে নাকি মেগা আনছে অন্য চ্যানেলটিও।
সাম্প্রতিক উদাহরণগুলি বলে দিচ্ছে, লড়াই আর সোজাসাপ্টা পথে নেই। মিঠুনকে নিয়ে আসাটাও বাজার দখলের একটা চেষ্টা। ‘ডান্স ডান্স...’-এর প্রথম সিজ়নে বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মিঠুন মহাগুরু হয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, জ়ি তাদের ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের জন্য দেবকে পেতে চেয়েছিল এ বার। কিন্তু দরাদরির খেলায় পিছিয়ে পড়ে তারা। একই ভাবে ‘সুপার সিঙ্গার’-এর সঞ্চালক হিসেবে যিশু সেনগুপ্তকে অন্য চ্যানেল থেকে ‘ভাঙিয়ে’ আনা হয়েছিল। তখন অপর চ্যানেলটি পাল্টা আবীর চট্টোপাধ্যায়কে সঞ্চালক করে। রিয়্যালিটি শোয়ের ফ্লপ বদনাম ঘোচাতে মিঠুন এবং দেবের উপরে ভরসা করছে জলসা। তা কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই দেখার।