রক্তকরবীতে মুমতাজ সরকার ও রাহুল।
পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্যের ছবি ‘রক্তকরবী’ মুক্তি পাবে ২১ জুলাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘রক্তকরবী’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর এই ছবি। ‘‘একটা সিস্টেমের গল্প ‘রক্তকরবী’। যন্ত্র মানবের গল্প। যে গল্প এই সময়ে বড্ড প্রাসঙ্গিক। সেই প্রাসঙ্গিকতাকে ছবিতে তুলে ধরার জন্য এই নাটকটির প্রেক্ষাপট আদর্শ। একটি নাটকের দলকে ঘিরে এই সিনেমার গল্প, যারা ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ করে। আস্তে-আস্তে ‘রক্তকরবী’র চরিত্রগুলি কলাকুশলীর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয়ে ওঠে,’’ ছবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বললেন পরিচালক।
ছবির গল্প কিছুটা এই রকম, নাট্যশিল্পী এবং মন্ত্রী রাজা সেনগুপ্তর একটি নাটকের দল আছে। একটা সময় রাজা অনুভব করে তার নাট্য ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক সত্তার দ্বন্দ্বকে। সিদ্ধান্ত নেয় তার নাট্যদল মঞ্চস্থ করবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকটি। জোরকদমে শুরু হয় প্রস্তুতি। এই সময়েই সে অনুভব করে, তার দলের নাট্যকর্মীদের রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। শিল্পীরা রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধিতে মগ্ন এবং এর কেন্দ্রবিন্দুতে হল তার দলে নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে আসা অদ্বিতীয়া। অদ্বিতীয়া এবং তার প্রেমিক রঞ্জন অন্য মতাদর্শে বিশ্বাসী। রঞ্জন অনাথ বাচ্চাদের পড়ায়, কলেজে তার প্রবল জনপ্রিয়তা। কয়েকটি শো হওয়ার পর নাটকটি বন্ধ হয়ে যায়। রাজা সেনগুপ্ত আশাহত হয়। সে নাটক বন্ধের কারণ বুঝতে পারে। রাজা সেনগুপ্তের অবস্থা হয় ‘রক্তকরবী’র রাজার মতো। রাজার বিরুদ্ধেই তো তার লোকজন ষড়যন্ত্র করে। ইতিমধ্যে রঞ্জন খুন হয়। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অদ্বিতীয়া ও অন্যান্যদের নেতৃত্বে এগিয়ে চলে। রাজা সেনগুপ্ত তার বিশ্বস্ত অনুচরের সাহায্যেও ঠেকাতে পারে না বিদ্রোহ। শেষে মেনে নেয়, যোগ দেয় অদ্বিতীয়ার মতাদর্শে। অদ্বিতীয়ার চরিত্রে মুমতাজ সরকার, রাজা সেনগুপ্তের চরিত্রে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, রঞ্জনের চরিত্রে রাহুল অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া আছেন রাজেশ শর্মা, কৌশিক সেন, ঊষসী চক্রবর্তী প্রমুখ। অমিতাভ ভট্টাচার্যের আগের ছবি ‘কন্ডিশন অ্যাপ্লাই’ সে রকম দাগ কাটেনি। কিন্তু এই ছবিটি নিয়ে বেশ আশাবাদী পরিচালক।