জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। ছবি: সংগৃহীত।
২০০ কোটি টাকা তছরুপের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ‘কনম্যান’ সুকেশ চন্দ্রশেখর। আপাতত জেলেই রয়েছেন সুকেশ। আর্থিক তছরুপের ওই মামলায় সুকেশের সঙ্গেই জড়িয়ে পড়েন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ও। এই ঘটনার দু’বছর কেটে গেলেও বার বার আদালতে চক্কর কাটতে হচ্ছে জ্যাকলিনকে। বিদেশযাত্রার জন্য বার বার আদালতে আর্জিও জানাতে হয়েছে তাঁকে। এ বার দিল্লির একটি আদালত অভিনেত্রীকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিল। তবে সেখানে জামিনের শর্তে কিছু রদবদল করা হয়েছে।
২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক জ্যাকলিনের জামিন মঞ্জুর করেন। তখন আদালতের নির্দেশ ছিল, বিদেশে যাওয়ার আগে জ্যাকলিনকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এখন আদালত জানিয়েছে যে, এক জন অভিনেত্রী তাঁর কাজের জন্য বিদেশযাত্রা করতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য আগাম অনুমতিতে অনেকটাই সময় নষ্ট হয়। ফলে তা কারও পেশার ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই আদালত জ্যাকলিনের বিদেশযাত্রা মঞ্জুর করেছে। তবে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রার অন্তত তিন দিন আগে জ্যাকলিনকে আদালত এবং ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)-র কাছে তা জানাতে হবে।
মামলার শেষ শুনানিতে বিচালক শৈলেন্দ্র মালিক বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আগাম অনুমতি নেওয়া অনেক সমসেয়ই সময়সাপেক্ষ এবং তার ফলে কারও কাজও হাতছাড়া হতে পারে।’’
এর আগে একাধিক বার বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রীর তরফে জানানো হয়েছিল, জামিনের শর্ত অনুযায়ী বিদেশযাত্রার অনুমতির জন্য তাঁর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। একের পর এক কাজ হাতছাড়া হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে কর্মসূত্রে ভারতে রয়েছেন ‘কিক ২’ খ্যাত শ্রীলঙ্কার এই অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গে টেনেই আদালত বলে যে, অভিনেত্রী ভারতীয় আইন অনুসারে সরকারকে কর প্রদান করেন এবং এখনও পর্যন্ত জামিনের কোনও অপব্যহার করেননি। তাই পেশাগত দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা করেই অভিনেত্রীকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।