অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়াল (বাঁদিকে), ‘ছপক’-এর লুকে দীপিকা (ডানদিকে)।
কোথাও যেন মিলে গেল রিল এবং রিয়েল। একদিকে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়াল। আর একদিকে তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করা দীপিকা পাড়ুকোন। মেঘনা গুলজার পরিচালিত ‘ছপক’-এর শুটিংয়ের শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করলেন দুই কন্যা।
মঙ্গলবার দিল্লিতে ‘ছপক’-এর প্রথম শিডিউলের শুটিং শেষ হল। গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে শুটিং করছেন দীপিকা। দীর্ঘ ব্যস্ততার শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করলেন তাঁরা।
সম্প্রতি লক্ষ্মী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্কুলে আমি কখনও একটা মেডেলও পাইনি। কে আমার বায়োপিক তৈরি করবে? এই ছবিটা করার জন্য মেঘনার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ আমি।’’
আরও পড়ুন, সুদীপার ছেলের অন্নপ্রাশনে কারা নিমন্ত্রিত ছিলেন জানেন?
দীপিকা আগেই বলেছিলেন, “মেঘনার সঙ্গে পাঁচ মিনিট এটা নিয়ে কথা বলার পরই মনে হয়েছিল, ছবিটা আমি করব। কিন্তু এই চরিত্রে এত আবেগ আছে যে, আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করেছি।” দীপিকার ফার্স্ট লুক দেখে লক্ষ্মী শেয়ার করেছিলেন, ‘‘দীপিকার ফার্স্ট লুক ভাল লেগেছে আমার। সবচেয়ে ভাল লাগছে একজন সেলিব্রিটি এই লুকে সামনে এলেন। মেকআপে পুরো মুখটা বদলে যায়। কিন্তু তার মধ্যে থেকেও সৌন্দর্যটা খোঁজার চেষ্টা করি আমি।’’
আরও পড়ুন, সত্ মা শ্রীদেবীর মৃত্যুতে বাবার পাশে থাকা নিয়ে অর্জুন বললেন...
দীপিকার প্রস্থেটিক মেকআপ করছেন ক্লোভার উটন। যিনি এর আগে ‘সঞ্জু’তে রণবীর কপূরের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। ‘পরী’তে অনুষ্কা শর্মার মেকআপও করেছিলেন ক্লোভার। দীপিকার মেকআপে ক্লোভারকে সাহায্য করছেন মুম্বইয়ের শ্রীকান্ত। চিত্রনাট্য পড়ার পরেই মেঘনার কাছ থেকে দীপিকা জানতে চেয়েছিলেন, কী করে ছবিতে নিজের চরিত্রকে তিনি আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেন। এক জন অ্যাসিড ভিক্টিমের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প পর্দায় তুলে ধরা সহজ কথা নয়। কোনও রেফারেন্স পয়েন্টও নেই দীপিকার কাছে। মেঘনা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সাধারণের সঙ্গে বেশি করে মিশতে, তাঁদের ঘিরে থাকতে। ভুলে যেতে যে, তিনি স্টার! সেই নির্দেশ মেনে হোমওয়ার্ক করেছেন বলে জানিয়েছেন দীপিকা। সব কিছু ঠিক থাকলে এ ছবি মুক্তি পাবে ২০২০-এর ১০ জানুয়ারি।
🔆
🔆
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)