ফাইল চিত্র।
আড়াই মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ধারাবাহিকের শুটিং। তবে কোন ধারাবাহিক চলবে, কোনটি বন্ধ হবে, সে জট এখনও কাটেনি। এই কঠিন সময় ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে দর্শকের পছন্দের মাপকাঠিতেও এসেছে পরিবর্তন। সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ‘বাঘবন্দি খেলা’ ধারাবাহিকটি। তার কারণ জিজ্ঞেস করা, হলে জ়ি এন্টারটেনমেন্টের ক্লাস্টার হেড (ইস্ট) সম্রাট ঘোষ বললেন,‘‘একটি সিরিয়ালের সময়সীমা নির্ধারণ করার জন্য দর্শকের পছন্দই শেষ কথা।’’
সিরিয়াল চলা বা বন্ধ হওয়া নির্ধারণ করেন দর্শকই। লকডাউন পরবর্তী নতুন এপিসোড শুরু হতেই আবার জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’। কিন্তু লকডাউনের আগে সিরিয়ালটির আদৌ সম্প্রচার করা হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। একই জটিলতা ছিল ‘নেতাজি’।
‘‘একদিকে কলাকুশলীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও অন্য দিকে সিরিয়ালের মান বজায় রাখা এবং গল্পকে স্বাভাবিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য,’’ বললেন সম্রাট। পিরিয়ড ড্রামায় শিল্পী সমাবেশ বেশি হলেও নতুন এপিসোড দেখতে গিয়ে দর্শক কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে, ফ্লোরে একা একা সংলাপ বলছেন তাঁদের পছন্দের অভিনেতা। কাজটা কতটা কঠিন? সম্রাটের কথায়, ‘‘ছ’ জনের বেশি অভিনেতাকে একসঙ্গে দেখানোটা এডিটিং ও শুটিং টেকনিকালিটিসের কারসাজি। আলাদা আলাদা কাটে শট নিয়ে এডিট করে বোঝানো হচ্ছে যে, সকলে একই সঙ্গে রয়েছেন। তবে কাজটা চ্যালেঞ্জিং এবং সময়সাপেক্ষও। গল্প বোনা থেকে ফাইনাল এডিট অবধি একটি প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।’’
দর্শকের পছন্দের দিকে খেয়াল রেখেই আসছে আরও কয়েকটি নতুন ধারাবাহিক। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একটি মেয়ের ডাক্তার হওয়ার গল্প নিয়ে ‘কাদম্বিনি’ এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষীরের পুতুল’। তবে ‘ক্ষীরের পুতুল’-এর জায়গায় কোন সিরিয়াল বন্ধ হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর। এখানেও শেষ কথা বলবেন দর্শক।