সরোদিয়া পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী মানসী মজুমদার এবং ইন্দ্রায়ুধ মজুমদারের সৌজন্যে দেশের তাবড় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী ভিড় জমান ‘স্বর সম্রাট’ উৎসবে। —নিজস্ব চিত্র।
হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন। তারপরেই সুর বাসা বাঁধবে শহর কলকাতায়। কখনও কানে বাজবে তবলার বোল। ঝিমঝিমে নেশা জাগানো ঘুঙুরের শব্দ, কিংবা বেহালা-সরোদের যুগলবন্দি। গত ৯টি শীত ধরে এমনটাই হয়ে আসছে সরোদিয়া পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী মানসী মজুমদার এবং ইন্দ্রায়ুধ মজুমদারের সৌজন্যে। দেশের তাবড় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী ভিড় জমান চার মাস ধরে, ‘স্বর সম্রাট’ উৎসবে।
এ বার সূক্ষ্ম পরিবর্তন, কোনও সভাগৃহ নয়,নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এক টুকরো ‘ডোভার লেন’ ভার্চুয়ালি অবস্থান করবে শহরবাসীর অন্দরমহলে। এ বছর এই বিশেষ উৎসব যুক্ত হবে শিল্পী-সেবাতেও।
গত সাত-আট মাসে করোনাকাল যাঁদের মুখের অন্ন কেড়েছে সেই সব শিল্পীর পাশে দাঁড়াবে ‘স্বর সম্রাট’ উৎসব থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে, আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন তেজেন্দ্রনারায়ণ। বললেন, সুর দিয়ে অ-সুর বধ পুরাকাল থেকে হয়ে আসছে। সেই অস্ত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের মতো মানুষের মনে এঁটে বসা ভয়, ঘরবন্দি হওয়ার অবসাদ মুছতে চেষ্টা করবে এই উৎসব। শিল্পীর ভাবনার কথা ছড়াতেই উৎসবে এক কথায় অংশ নিতে রাজি দিল্লির পণ্ডিত রাজেন্দ্র গঙ্গানি, বেঙ্গালুরুর রুক্মিণী বিজয়কুমার, পুণের পণ্ডিত সঞ্জীব অভয়ঙ্কর, মুম্বইয়ের বিদূষী এন রাজম, কলকাতার কৌশিকী চক্রবর্তী, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ, পণ্ডিত তন্ময় বোস, কুশল দাস এবং অন্যান্য শিল্পী।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত অপরাজিতা আঢ্য, সংক্রমণ ছড়িয়েছে পরিবারেও
আরও পড়ুন: মির্জ়াপুর (সিজ়ন টু): জ্বলল আগুন তবে ধিকি ধিকি
‘স্বর সম্রাট’ উৎসবে অংশ নেবেন কৌশিকী চক্রবর্তী, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ-সহ বিভিন্ন শিল্পী। —নিজস্ব চিত্র।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রকিসকদের মতোই ‘স্বর সম্রাট’-এর জন্য মুখিয়ে ৮২ বছরের পদ্ম সম্মানে সম্মানিত বেহালা বাদক এন রাজম থেকে জনপ্রিয় ইউটিউবার আরুশি মুদগলের মতো শিল্পী। তেজেন্দ্রনারায়ণের কথায়, প্রত্যেক শিল্পী তাঁর শহরের অডিটোরিয়ামে বসে অনুষ্ঠান করেছেন।সে ভাবেই শ্যুট করা হয়েছে। সেগুলি জুড়ে ১ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি রবিবার দেখানো হবে গোটা উৎসব।