অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
আজ লকডাউনে গৃহবন্দি।
আজ বিষণ্ণ চৈত্রের ঝোড়ো হাওয়া।
পাড়াও নির্জন নিস্তব্ধ।
গ্ৰিলের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে এসেছে মধ্যরাত বারান্দার ভেতর।
তোমার একত্রিশখানা চিঠি নিয়ে পড়তে বসেছি।
যে চিঠিতে পথিক বলে ডেকেছো,
খুলে দেখি আজ সেই চিঠির ভেতর সর্পিল পথ।
সেই পথ পরের চিঠিতে এঁকেবেঁকে চলে গেছে যত হাসপাতাল, যত কোয়রান্টিন, যত নোভেল করোনা
আর চুপ-শহরের পাশ দিয়ে ওই দূর দিগন্তের দিকে।
দু-হাতে জাপটে ধরে পথের মুখ,
ফেরাতে চেয়েছি স্বস্তির দিকে, শান্তির দিকে, সুস্থতার দিকে, পারিনি।
যে চিঠিতে আদুরে আকাশ নয়,
জীবন শিখিয়েছ।
আজ সেখানে মৃত্যু শোয়ানো।
চেনা যায় না কোনটা কার মুখ।
মুখ জুড়ে কোভিড-১৯ লেখা।
অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
এমনকি তোমার দেওয়া পেজ মার্কের
সাদা মেঘ,
যে চিঠিতে রেখেছিলাম,
সেখানে আজ কান্না।
এক পা-ও এগোনো যাচ্ছে না,
এত পিছল।
কান্না-জল শেওলা ফেলেছে
গোটা বিশ্বের ওপর।
আজ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া শহরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে,
কী ভীষণ উত্তপ্ত লাগে চিঠিগুলো।
কী ভীষণ জ্বর,
কী ভীষণ জ্বর আজ সব অক্ষরের।