কণিকা কপূর।
দিন কয়েক আগেই করোনা-মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কণিকা কপূর। বাড়ি ফিরতেই ফের বিতর্কে জড়াল তাঁর নাম। কণিকা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও কেন তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট সিল করা হল না এবং কেনই বা তাঁর এলাকাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করল না লখনউ জেলা প্রশাসন, প্রশ্ন তুললেন কণিকার প্রতিবেশীরা।
গত ২০ মার্চ সর্দি-কাশি সহ করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কণিকা। প্রায় দিন সতেরো পর গত ৬ এপ্রিল সঞ্জয় গাঁধি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স থেকে ছাড়া পান তিনি। হাসপাতাল থেকে ফিরে আপাতত লখনউয়ের মহানগর অঞ্চলে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টেই রয়েছেন কণিকা।
এ দিকে যে সব জায়গায় করোনা রোগী পাওয়া গিয়েছে, সেই সব জায়গা হটসপ্ট হিসেবে চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লখনউ জেলা প্রশাসন বারোটি জায়গা হটস্পট হিসেবে উল্লেখ করলেও তার মধ্যে মহানগর এলাকা নেই কেন? প্রশ্ন তুলেছেন কণিকার প্রতিবেশীরা।
লখনউ জেলা শাসক অভিষেক প্রকাশকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কণিকা এখন সুস্থ। সেই জন্যই জায়গাটিকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন- লকডাউনের রান্নাবান্না: গন্ধরাজ ঢ্যাঁড়শ মাছ, গাজরের কেকের অভিনব রেসিপি শেয়ার করলেন ‘জবা’
কিন্তু নিকটবর্তী ইন্দিরা নগরে আর এক জন করোনা পজিটিভ রুগী থাকায় সে জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। কণিকার বেলায় ছাড় আর সেই ব্যক্তির বেলায় এ রকম নিয়ম কেন? প্রশ্ন উঠেছে এলাকাতেই।
জবাবে অভিষেক বলেন, “ওই ব্যক্তি সুস্থ হলেও তাঁর বাড়ির লোকেদের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। সেই জন্যই ওই জায়গাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- করোনা আতঙ্কের মাঝেই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সুইৎজারল্যান্ডে মোনালি কী করছেন?
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর অঞ্চলের এক বাসিন্দার অভিযোগ, “হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের চাপেই কণিকার ফ্ল্যাট সিল করেনি পুলিশ।”
কেন এই দ্বিচারিতা? ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা।