গল্পই যখন হিরো

তারকা বা অ্যাকশন-নাচাগানা নয়। টালিগঞ্জের নতুন হিরো এখন কনটেন্ট অর্থাৎ গল্প। লিখছেন ঋজু বসু।তারকা বা অ্যাকশন-নাচাগানা নয়। টালিগঞ্জের নতুন হিরো এখন কনটেন্ট অর্থাৎ গল্প। লিখছেন ঋজু বসু।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০১:৪২
Share:

Advertisement

আইপিএল ফাইনাল বনাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!

এ ভাবেই দেখা যায় যুদ্ধটা। গত রবিবার ইডেনে খেতাবি লড়াই শুরুর ঠিক আগে সন্ধে ছ’টা পঁয়ত্রিশের শোয়ে ‘কাদম্বরী’ দেখতে গিয়ে ভ্যাবাচাকা বোল্ড চিত্রপরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী ওরফে টোনি। সাউথ সিটি প্রায় হাউজফুল। একেবারে সামনে গুটিকয়েক সিট ফাঁকা। ছবি দেখতে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে সঙ্গে-সঙ্গে হোয়াট্‌সঅ্যাপ করে অভিনন্দন কাদম্বরী-র পরিচালক সুমন ঘোষকে। বাংলা ছবির এমন দিনও দেখা গেল, ভেবে গর্বে টোনির বুকের ছাতি ফুলে উঠছে।

Advertisement

রিলিজের তিন হপ্তার মুখে রবীন্দ্রনাথের প্রিয় নতুন বৌঠান তথা ঠাকুরবাড়ির দুঃখিনী বধূ কাদম্বরীর কাহিনি নিয়ে যদি এই মাপের ঔৎসুক্য থাকে, দাম্পত্যের টানাপড়েনে ভরপুর স্নিগ্ধ পারিবারিক ছবি ‘বেলাশেষে’ নিয়ে যা চোখে পড়ছে, তা নিখাদ উন্মাদনা। আইপিএল ফাইনালের সন্ধেয় ‘বেলাশেষে’র টানেও সাউথ সিটি থেকে নাগেরবাজারের ডায়মন্ড প্লাজা বা হাওড়ার অবনী মল প্রায় উপচে পড়ছে। এ সব মাল্টিপ্লেক্সে দীর্ঘ দিন বাংলা ছবি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকসুলভ ব্যবহারই পেয়ে এসেছে। মোবাইলে ‘বুক মাই শো’-র অ্যাপ্‌স ঘাঁটতে গেলে চোখে পড়ে উইকএন্ডে এক দিন আগেই বেলাশেষে-র শোয়ে বিক্ষিপ্ত দু-একটা সিট মোটে ফাঁকা।

বেলাশেষের একটি দৃশ্য

জনৈক মাল্টিপ্লেক্স-কর্তা বোঝালেন, এই একজনের টিকিটগুলোই বিক্রি হতে একটু মুশকিল হচ্ছে। কেন ? ‘‘বুঝলেন না, ফুল ফ্যামিলি মিলে চার জন, ছ’জন, সাত জন করে সব আসছে যে! তাই রোয়ের ফাঁকে ছাড়া-ছাড়া দু-একটা সিটই যা পড়ে থাকছে,’’ বললেন তিনি।

চতুর্থ সপ্তাহের গোড়াতেও ‘বেলাশেষে’র ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রিয়া মুভিজের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত তাই ‘জ্বালিয়ে দিয়েছ’ বলে পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়দের উদ্দেশে টুইট করেছেন। বাংলা ছবি থেকে দীর্ঘদিন মুখ ফিরিয়ে থাকা দর্শকদের অনেক দিন বাদে ‘বেলাশেষে’-য় দেখে কেমন একটা কুম্ভমেলার বিছড়ে যাওয়া ভাইকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি হচ্ছে অনেকের। অরিজিৎ বলছেন, ‘‘এই ৬০ থেকে ৮০-র কোঠার দর্শকের এমন বিস্ফোরণ কতদিন বাদে দেখলাম।’’ সিনিয়র সিটিজেনরা ঝাঁকে ঝাঁকে এলে আবার তাঁদের ছেলেপুলে-নাতিনাতনিদের সমাগমটাও বোনাস! বিকেল চারটের চড়া রোদ মাথায় প্রিয়ায় ঢুকে বুড়োবুড়িরা অনেকেই কষ্ট করে ধরে-ধরে হাঁটছেন। প্রিয়া-র লিফ্‌টটা আবার আদ্যিকালের। চারজনের বেশি ধরে না। নাঃ, লিফ্‌টটা এ বার সারাতেই হচ্ছে, বেলাশেষে ও কাদম্বরী-র ধাক্কায় ভেবে ফেলেছেন প্রিয়ার কর্ণধার।

অথচ, গত বছরই মার্কেট রিসার্চ সংস্থা আইএমআরবি ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের একটি সমীক্ষা রিপোর্টে বলছে ৯০ শতাংশ বাংলা ছবিই ‘ফ্লপ’ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছিল। বাংলা ছবি খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে ৫০ দিন পার করলেও কৃতার্থ বোধ করতেন পরিচালক-প্রযোজক। সেখানে এই দুই ছবির জয়যাত্রা সত্যিই ম্যাজিক মনে হচ্ছে।

কী করে ঘটল এই উলটপুরাণ ?

দুই হুজুরের গল্প

‘বেলাশেষে’ বা ‘কাদম্বরী’-র কোনওটাতেই না-আছে দেব বা জিতের মতো বক্সঅফিস কাঁপানো সুপারস্টার, না-আছে ঝিনচ্যাক গান কি ডান্সের সিকোয়েন্স। তবু ‘বেলাশেষে’ দেখে এসে সাফল্যের এই রসায়নটা ধরতে ভুল হয়নি প্রসেনজিৎ ওরফে টালিগঞ্জের অভিভাবকপ্রতিম বুম্বাদা-র। তাঁর টুইট ‘‘বেলাশেষে টালিগঞ্জের প্রেরণা। এ হল সব প্রজন্মের ছবি!’’ প্রবীণ সৌমিত্র-স্বাতীলেখা, মধ্য যৌবনের ঋতুপর্ণা-সুজয় বা সোশ্যাল মিডিয়ামুখর তরুণ দম্পতি মনামি-অনিন্দ্যর সম্পর্কের আলো-ছায়ার খেলা দেখতে দেখতে সব ধরনের দর্শকেরই ‘কানেক্ট’ তৈরি হচ্ছে। ‘‘এ ছবিতে এক সঙ্গে তরুণ মজুমদার, ঋতুপর্ণ, প্রভাত রায়ের মশলা আছে’’, বলছেন প্রসেনজিৎ।

‘বেলাশেষে কোলাহল’ বলে একটা নাটক দেখেই বিষয়ের বারুদটা ধরতে পেরেছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়- নন্দিতা রায়েরা। ‘‘নানা বয়সের কাপ্‌লদের সঙ্গে কথা বলে সময় নিয়ে আমরা স্ক্রিপ্টটা করি। হয়তো সে-জন্যই সবার এত ভাল লাগছে,’’ বলছেন ওঁরা। অন্য দিকে ‘কাদম্বরী’-র পরিচালক সুমন ঘোষ কিন্তু স্বীকার করছেন, মাতামাতিটা এই পর্যায়ে উঠবে ধরতে পারেননি! বললেন, ‘‘আমি কে কী ভাববে, তত ভাবিনি! তবে অহেতুক রং না-চড়িয়েই কাদম্বরীর জীবন নিয়ে ছবিটা করতে চেয়েছি।’’

কাদম্বরী

এখন তাঁর জন্য শংসাপত্র আসছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে হর্ষ নেওটিয়া-মধু নেওটিয়াদের কাছ থেকেও। সুমনের কথায়, ‘‘মনে হচ্ছে, আমি বোধহয় গল্পটা ঠিকঠাক বলতে পেরেছি। তাই সবার ভাল লাগছে!’’ রবীন্দ্রজীবনের বিতর্কিত অধ্যায়, নতুন বৌঠানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সেলুলয়েড-বন্দি হওয়া নিয়ে উৎসুক বস্টন থেকে বাগবাজারের বাঙালি। সেখানেও রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীর সম্পর্কের সংবেদনশীল উপস্থাপনা অনেককেই স্পর্শ করছে। দার্জিলিংয়ের আউটডোর লোকেশনে শ্যুটিংয়ের ফাঁকেও দর্শকদের আবেগের এই উষ্ণতা টের পাচ্ছেন কাদম্বরীর ‘রবীন্দ্রনাথ’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তরুণ রবীন্দ্রনাথ পরম উৎসাহে ফুটছেন, ‘বেলাশেষে’ বা ‘কাদম্বরী’র প্রতি টান গোটা ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক-প্রয়োজকদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছে!

অন্য কিছুর গল্প বল...

প্রসেনজিৎ থেকে পরমব্রত বা চিরঞ্জিত থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সকলেই একটি বিষয়ে একমত। ভাল গল্পের মশলার বিকল্প হয় না। কনটেন্ট ইজ দ্য কিং! এবং গত কয়েক বছরে তারকাদের নিয়ে মাতামাতি থাকলেও বিষয়বস্তুর মহিমাই টালিগঞ্জকে টেনে তুলছে। কবে থেকে এই মোড় ঘুরছে বাংলা ছবির ? পরমব্রত যদি অঞ্জন দত্তের ‘বং কানেকশন’- কে মনে করান, সৃজিতের মনে পড়ছে গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আর একটি প্রেমের গল্প’ কি ‘শব্দ’, বা তাঁর নিজের ছবি ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর কথা। উঠে আসছে অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘অনুরণন’, ‘অন্তহীন’ বা অনীক দত্তের ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘ইচ্ছে’-র কথাও।

ইদানীংকালে বাংলা ছবিকে চাঙ্গা করার সড়কে সৃজিতের ‘চতুষ্কোণ’-ও একটি উজ্জ্বল আলোর বিন্দু। ছকে-বাঁধা নায়ক-নায়িকা নেই। তার বদলে টান-টান রুদ্ধশ্বাস কাহিনি। আর ক’জন শক্তিশালী অভিনেতা। এতেই বাজিমাত। অনেক দর্শকই দু’বার-তিন বার করে ‘চতুষ্কোণ’ দেখছে।

এমন গল্পপোষ্য ছবির জয়জয়কারের আরও নমুনা রয়েছে বছরখানেকের মধ্যে। দেব-মিঠুনের হিরোগিরির সঙ্গেই রিলিজ করেছিল অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’। তারকাহীন ছবির পুঁজি সাবেক উত্তর কলকাতা ও ছোটবেলার বন্ধুতা ঘিরে সর্বজনীন নস্ট্যালজিয়া। প্রাথমিক চমকের পরে ‘হিরোগিরি’ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর ডেভিড ও গোলিয়াথের অসমযুদ্ধের মতোই ধীরে-ধীরে শৃঙ্গজয় করেছে ‘ওপেন টি’। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করাতে বাঙালির করুণ সংগ্রাম নিয়ে ‘রামধনু’ও বক্স অফিসে সফল। আর একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যগাথা অরিন্দম শীলের ছবি ‘এ বার শবর’! শীর্ষেন্দুর গোয়েন্দা চরিত্র শবর দাশগুপ্ত ফেলুদা-ব্যোমকেশের মতো সাঙ্ঘাতিক চেনা নয়। তবু টানটান চিত্রনাট্যের স্মার্টনেসে শবরই সব থেকে বেশি দিন হলে টিকে থেকেছে। ‘‘তারকা তো প্রথম দিকে হলে লোক টানবেন। কিন্তু ছবির আসল নায়ক এই কনটেন্ট। তা না-হলে কি উত্তমকুমার-অমিতাভের বই ফ্লপ হত!’’— পর্দার শবর তথা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় হেসে বলছেন ।

চতুষ্কোণ

পপুলিস্ট বনাম ভাল ছবি

অন্য ধাঁচের বাংলা ছবিতে সম্প্রতি নয়া অবতারে দেখা দিয়েছেন, একদা টলিউড অ্যাকশন-হিরো চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ছকে-বাঁধা বাংলা ছবি থেকে দীর্ঘদিন যে দর্শক মুখ ফিরিয়ে সৃজিতের ‘চতুষ্কোণ’ তারাও চিরঞ্জিতকে আবিষ্কার করেছে। তিনি নিজেও বলছেন, ‘‘এ হল, আমার অফস্ক্রিন সত্তা দীপক চক্রবর্তীর ছবি।’’ চিরঞ্জিত-অপর্ণার মতো বর্ষীয়ান জুটির রোম্যান্সও আজকের বাংলা ছবির দর্শককে ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবু সেই চিরঞ্জিতই কিন্তু বেসুরে গাইছেন। এ সব ছবি শহুরে দর্শকের ভাল লাগছে। অনেক নতুন দর্শক হচ্ছে, সবই ঠিক কথা! তবু সাবেক কমার্শিয়াল ছবি যত মানুষের কাছে পৌঁছত, এই সব শহুরে ছবির তত দম কই !

‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’-র সর্বকালীন সাফল্যের নজির তুলেও ধরছেন চিরঞ্জিত। ‘‘এখনও বসিরহাট বা স্বরূপনগরে লোকে আমার কাছে বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না বা প্রতীকের সংলাপই শুনতে চায়!’’ চতুষ্কোণ-এর দীপ্তর ডায়ালগ আওড়ে চিরঞ্জিতের হুঁশিয়ারি, এ সব কমার্শিয়াল পপুলিস্ট ছবিতেই সিনে-কারখানার চাকা ঘোরে! তাতেই অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ছবির রেস্ত জোগাড় হয়।

পরমব্রত বা সৃজিতরা এ যাত্রা ‘দীপকদা’-র সঙ্গে একমত নন। তাঁদের মতে, বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না-র দিন গিয়েছে। দু’দশক আগে বিনোদনে বাংলা ছবির একাধিপত্য, টিভি-র সীমিত প্রভাব—এ সবও জ্যোৎস্নার জয়জয়কারের কারণ। বাণিজ্যিক, চোখ-ধাঁধানো উপাদানের থেকেও সৃজিত গল্পের উপরেই জোর দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কাছে গল্প বলাটাই সব। চরিত্রের কাস্টিংটাও গল্পের স্বার্থেই। দরকার হলে স্টার থাকবে, না-হলে নয়!’’

এবার শবর

এই শহর থেকে আরও অনেক দূরে

নানা মতের ঠোকাঠুকিতে টলিউডের বুম্বাদা, দীপকদা-রা তবু একটা জরুরি দিক মনে করাচ্ছেন। শুধু শহুরে দর্শকের মাল্টিপ্লেক্স নয়, মফস্‌সল-পাড়াগাঁর সিঙ্গল স্ক্রিনকে ভুললে চলবে না। হালের সফল বাংলা ছবির দৌড়ের ট্র্যাকটা কিন্তু ইতিমধ্যেই কলকাতা ছাড়িয়ে মফস্‌সলের চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়ছে। ‘এবার শবর’-‘চতুষ্কোণ’কে প্রাণভরে নিয়েছে বারাসত-ব্যারাকপুর। অনিন্দ্যর ‘ওপেন টি’ মসলন্দপুর, ধনেখালি, পাঁচপোতাতেও ছাপ ফেলেছে।

‘‘এই এক্সপ্যানশন অফ আর্বানিটি বা শহুরে মনের বিস্তারটাই আসল।’’— বলছেন পরমব্রত। দেখা যাচ্ছে, বেহালার অজন্তার মতো অশোকনগরের নটরাজ-ও কাঠফাটা দুপুরে ‘কাদম্বরী’তে রবীন্দ্র-জীবনের গভীরে ডুব দিচ্ছে। বেলাশেষে-র উচ্ছ্বাসটাও মফস্‌সলি মাল্টিপ্লেক্স তো বটেই, কল্যাণী বা বালুরঘাটের সিঙ্গল স্ক্রিনেও সংক্রমিত। দর্শক সর্বত্র একই ভাবে এই সৌমিত্র-স্বাতীলেখার মায়া-মমতা-অভিমানে চোখ মুছছেন তো, বাড়ির বড় জামাই খরাজ মুখোপাধ্যায়ের দুষ্টুমির টাইমিংয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন। শিবপ্রসাদ-নন্দিতারা চাইছেন, ধাপে ধাপে মেদিনীপুর-বর্ধমানের ভিতরে, দেশের ভিন রাজ্য বা বিদেশের বাঙালিদের কাছেও ‘বেলাশেষে’-কে পৌঁছে দিতে।

খানিকটা নাগরিক রুচির, ভাল গল্পের সিনেমার বক্সঅফিস জয়ের হাতিয়ার হয়ে ওঠা কিন্তু স্রেফ টালিগঞ্জের ব্যাপার নয়। হলিউডেও ‘হুইপল্যাশ’ বা ‘থিওরি অফ এভরিথিংয়’-এর মতো ছবি অস্কার- দৌড়ে উঠে আসছে। বলিউডে ‘লাঞ্চবক্স’ থেকে হালের ‘পিকু’ বাণিজ্যিক উপাদানের পরোয়া না-করেই ব্যবসা করছে।

তাহলে মেনস্ট্রিম ছবির নায়ক-নায়িকার ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে ?

কয়েক দশক ধরে টালিগঞ্জে রাজত্ব করা প্রসেনজিৎ কিন্তু আত্মবিশ্বাসী, স্টার নায়ক-নায়িকারাও এই নতুন সময়ে দিব্যি টিকে থাকবেন। শুধু দরকার নিজেকে খানিকটা ভাঙবার সাহস। টালিগঞ্জে দেখা গিয়েছে দেব ‘বুনোহাঁস’-এর মতো বাস্তবধর্মী ছবিতে সামিল। ‘হেমলক সোসাইটি’ করছেন কোয়েল। বুম্বাদার আপ্তবাক্য, ইন্ডাস্ট্রি থাকলেই হিরো থাকবে, না-থাকলে নয়! এটা মাথায় রেখেই নায়ক-নায়িকাকেও কনটেন্টের বশ্যতা মানতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement