কঙ্গনা
পদ্মে কাঁটা থাকে, কিন্তু পদ্ম পুরস্কারে? সেখানে বোধহয় শুধুই রং। যাঁদের সম্পর্কের কাঁটা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই, তাঁরাও সময় বিশেষে এক সুরে গলা মেলান। আসলে সকলেই তো গেরুয়া শিবিরের ছত্রচ্ছায়ায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের এ বারের পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় রয়েছে কঙ্গনা রানাউত, একতা কপূর, কর্ণ জোহর এবং আদনান সামির নাম। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া বিদ্রুপে ভরে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুললেই কি মিলছে পদ্ম সম্মান?
কঙ্গনা, একতা এবং কর্ণ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ, সে কথা অজানা নয়। যে কারণে রাষ্ট্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে তাঁদের ভূষিত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মোদীর দরবারে কঙ্গনা, কর্ণ, একতাকে একাধিক বার দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় এঁরা কোনও দিনই মুখ খোলেন না। বরং সরকারের হয়েই বরাবর বক্তব্য পেশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। নেটিজ়েনের মতে, সরকারের প্রশস্তি করার ফলই এই পদ্ম সম্মান। আদনান স্বামী ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তার উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে বিজেপি সরকারের গুণগান করে থাকেন। সেই মাপকাঠিতেই কি তিনি সম্মানিত?
সেই সেলফি
এই তর্কের আরও একটি দিক রয়েছে। যাঁদের মধ্যে তিক্ততা ছিল স্পষ্ট, তাঁরা এই পুরস্কারের ফলে একে অপরের পিঠ চাপড়াচ্ছেন। কঙ্গনা রানাউতকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন আলিয়া ভট্ট। দু’জনের সম্পর্ক একেবারেই মধুর নয়। কর্ণ জোহরের সঙ্গে নেপোটিজ়ম বিতর্কে কঙ্গনার আক্রমণের মূল লক্ষ্যই ছিলেন আলিয়া। আলিয়া সম্পর্কে তির্যক মন্তব্য করে থাকেন কঙ্গনা ও তাঁর বোন রঙ্গোলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলিয়ার শুভেচ্ছাবার্তার ছবি দিয়ে রঙ্গোলির ব্যঙ্গ, ‘‘এই দেখুন, আলিয়াজি পর্যন্ত কঙ্গনাকে ফুল পাঠিয়েছেন। কঙ্গনা কী বলবে জানি না, কিন্তু আমি খুব মজা পাচ্ছি।’’ অন্য দিকে কর্ণ পদ্মশ্রী পাওয়ায় কঙ্গনা অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই সম্মান ওঁর প্রাপ্য।’’
যাঁদের সম্পর্কে বৈরিতা সর্বজনবিদিত, তাঁরাও এখন এক সুরে গাইছেন।