bollywood

‘সোলো লিডের অনেক ছবি রিলিজ করেনি’

ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন। কেরিয়ারের দু’দশক নিয়ে কথা বললেন চন্দ্রচূড় সিংহফিজ়িওথেরাপি করেও ব্যথার উপশম হয়নি। তাই শুটিং করতেও সমস্যা তৈরি হত।

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ০০:২৪
Share:

চন্দ্রচূড় সিংহ

বলিউডে অনেক অভিনেতাই আসেন। আবার হারিয়ে যান। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তাঁদের নতুন করে আবিষ্কার করছে। আজ হটস্টারে মুক্তি পাচ্ছে রাম মাধবানী পরিচালিত ‘আরিয়া’, যার মুখ্য চরিত্রে সুস্মিতা সেন। সুস্মিতার স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা চন্দ্রচূড় সিংহকে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটাই তাঁর প্রথম শো।

Advertisement

১৯৯৬ সালে ‘তেরে মেরে সপনে’ ছবিটি দিয়ে ডেবিউ করেছিলেন চন্দ্রচূড়। সেই বছরে মুক্তি পায় গুলজ়ার পরিচালিত ‘মাচিস’। ‘জোশ’, ‘কেয়া কহেনা’, ‘দিল কেয়া করে’র মতো ছবিতে থাকলেও, চন্দ্রচূড় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অঁসম্বল কাস্টে সেকেন্ড লিড হিসেবে কাজ করেছেন। ‘‘আমার প্রথম ছবি ‘তেরে মেরে সপনে’তেও দু’জন নায়ক ছিল। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে আমি কয়েকটা সোলো লিডের ছবি করেছিলাম। কয়েকটির কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। যেগুলো শেষ হয়েছিল, সেগুলোও মুক্তি পায়নি। তবে বিশ্বাস করি পরিচালক, গল্প ও চরিত্রের মেলবন্ধন পোক্ত হলেই ভাল ছবি হয়,’’ আক্ষেপ সামলে বললেন অভিনেতা।

সুস্মিতার সঙ্গে প্রথম বার কাজ করা প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় বললেন, ‘‘দু’দশক আগেই ওর সঙ্গে কাজ করা যেত। তবে সে সুযোগ আসেনি। ও খুব বড় মনের মানুষ। সেটে আমাদের ভাল বন্ডিং হয়েছিল।’’ সিরিজ়ে নিজের চরিত্র সম্পর্কে চন্দ্রচূড়ের মত, ‘‘ভাল-মন্দ দিয়ে এই চরিত্রটাকে বিচার করা ঠিক নয়। ও পরিস্থিতির শিকার।’’

Advertisement

২০০০ সালে গোয়ায় একটি ওয়াটার স্পোর্টে অংশ নেওয়ার সময়ে চন্দ্রচূড় ডান কাঁধে গুরুতর চোট পান। সার্জারি হয়, তখন নিয়মিত ফিজ়িয়োথেরাপির সেশন করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুটিংয়ে ফেরা তাঁর পক্ষে দুষ্কর হয়ে ওঠে। ‘‘আমি শুটিং শুরু করেছিলাম। কিন্তু বারবার ব্যথা হত। শুটিং বন্ধ রাখতে হত। ফলে পুরোদমে কাজ করা তখন সম্ভব হয়নি,’’ বললেন অভিনেতা।

নব্বইয়ের দশকে কেরিয়ার শুরু করে ২০২০তে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ডেবিউ করছেন অভিনেতা। ‘‘গত কুড়ি বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। সেটা কনটেন্টের দিক থেকে যেমন সত্যি, আবার টেকনিক্যাল দিক থেকেও চোখে পড়ার মতো। চারপাশে এখন অনেক প্রতিভা। ক্যামেরার সামনে ও পিছনে... দুই জায়গাতেই,’’ বললেন তিনি। নতুন প্রজন্মের রণবীর সিংহ, রণবীর কপূর, বরুণ ধওয়ন, ভিকি কৌশল তাঁর পছন্দের।

লকডাউনের সময়টুকু চন্দ্রচূড় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে উন্নত করার কাজে লাগিয়েছেন। ‘‘নিয়মিত ধ্যান করতাম। গান শুনতে ভালবাসি। ধ্রুপদী সঙ্গীতের পাশাপাশি মদন মোহন সাব, পঞ্চমদার গানও শুনেছি। আর লকডাউনের জন্য ছেলে বোর্ডিং স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছে। ও গানবাজনা করে। ওর সঙ্গে জ্যামিং করেই সন্ধে কেটে যেত,’’ বললেন গর্বিত বাবা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement