ছবি: উপল সেনগুপ্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গৃহীত।
উপলের কি পুচকি হল? উপল কি তাঁর স্ত্রীকে পুচকি বলে ডাকেন? এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। কেউ আবার বলছেন, পুচকি খুব মিষ্টি দেখতে। ব্যাপারটা কী?
আসলে চন্দ্রবিন্দুর গায়ক উপল সেনগুপ্ত তো আর্ট কলেজের ছাত্র। ভালবাসেন ছবি আঁকতে।
তিনি একটা ছোট মেয়ে আর একটা পোষ্য কুকুরছানাকে নিয়ে কমিক সিরিজ করছেন। বহু দিন। উপলের ভাষায়, ‘‘ঠিক কমিক বললে ভুল হবে’’
কখনও তারা ফুটবল খেলছে। কখনও গেম খেলছে। আবার কখনও গাছ জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে জঙ্গলের মাঝে। সেলফি তুলছে মস্কোতে। আসলে উপল আর তাঁর স্ত্রী গার্গী দু’জনেই পোষ্য ভালবাসেন, সেখান থেকেই এই ভাবনা।
ছবি: উপল সেনগুপ্তর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গৃহীত।
উপল চেয়েছিলেন সরল কোনও ভাবনা, নির্মল আনন্দ। সেখান থেকেই আঁকার শুরু।
পুচকি আর তার পোষ্যকে আঁকার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেন উপল। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে সেটি জনপ্রিয় হয়। অনেকে শেয়ার করেন, নিজেরাও এঁকে পাঠান। আনন্দবাজার ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন উপল।
এরপর সবাই বলেন, পুচকি সিরিজ এ বার বইতে আসুক।তা থেকেই বইয়ের ভাবনা।
উপল বলেন, “প্রকাশনা সংস্থা থেকে কয়েক জন এসেছিলেন। তাই বই করেই ফেললাম। এ ভাবেই পুচকি চলে এল বইয়ের মলাটে। একে পিকচার বুক বলতে পার।”
ছবি: উপল সেনগুপ্তর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গৃহীত।
তবে পুচকির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিমেরিক শেয়ার করতেন উপল। যেমন, ‘ধানক্ষেতে কাকতাড়ুয়াটা দাঁড়িয়ে, ভয় দেখিয়ে পাখিদের দিত তাড়িয়ে। ভয়টা গেল শেষে, যখন দেখল এসে, পুচকি দিয়েছে, ভরসার হাত বাড়িয়ে’। বইতে এসব কিন্তু নেই। কেন? উপলের মতে, “ভাবনাগুলো যদি বাউন্ড হয়, তাহলে লাভ কী। বরং যে যার নিজের মতো ভাবুন ছবি দেখে।তাই বইয়ে এই সব লিমেরিক নেই।”
২৩ সেপ্টেম্বর রাজারহাটে আর্টস একরে উদ্বোধন হবে পুচকমিকসের। ওই দিন পুচকি পার্বণ, এমনটাই বলেন উপল। আর উপল থাকবে, গান থাকবে না, সে তো হয় না। পুচকি মলাটে আসবে, থাকবে গান, আর প্রচুর খাওয়াদাওয়া। কমিকসের উদ্বোধনে খাওয়াদাওয়া বোধ হয় প্রথম বার, এমনটাও বলেন উপল। কাজেই, পোষ্য ভালবাসলে তাকে নিয়েই আপনিও চলে যেতে পারেন।