দিব্যা দত্ত। ছবি— সংগৃহীত।
একজন পঞ্জাবি মেয়ের বলিউডে চরিত্র অভিনেতা হয়ে ওঠার লড়াইটা কেমন?
লড়াই কিন্তু সকলকেই করতে হয়। আমাদের প্রত্যেককেই একটু ফোকাস হতে হবে। আমার জীবনের প্রায়োরিটি কী? আমি ঠিক কী চাই। তার জন্য যা করার করতে হবে। আমি শব্দগুলোকে ‘স্ট্রাগল’বা ‘লড়াই’,এ ভাবে একেবারেই দেখতে চাই না।
কখনও অনিল কপূরের স্ত্রী, কখনও বা ইরফান খানের। কখনও বা ‘ইরাদা’-য় ক্ষতিকারক মুখ্যমন্ত্রী...
নেগেটিভ চরিত্র করার মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। খুব পছন্দ হয়েছিল কাজটা।
আপনি অনেক বড় বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন...
আরে! আমি অভিনয়ের ব্যাপারে ভীষণ লোভী। আমি চাই গুলজার সাব, বিশাল ভরদ্বাজ, অনুরাগ বসু, অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে। আমি অপেক্ষা করে আছি। আসলে আমাদের চারপাশে এতো ট্যালেন্ট ছড়িয়ে আছে!
অমিতাভ বচ্চন আপনার বইয়ের উদ্বোধন করেন...এটা তো দারুণ ব্যাপার!
হ্যাঁ। উনি আমার বইয়ের উদ্বোধনে এলেন! কথা বললেন। সাহস দিলেন। আর কী চাই?আসলে আমি শব্দ, অনুভুতি দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। এটাও আমার অভিনয়ের মতোই আর একটা খিদে।
তাহলে দিব্যাকে চিত্রনাট্যকার হিসেবে আমরা কবে দেখতে পাব?
আমার বন্ধুবান্ধবরা তো বলেই চলেছে,‘এবার ছবির জন্য লেখ।’ আমি জানি না কবে লিখতে পারব। তবে লেখা আমার প্রাণ!
বোল্ড, গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী হিসেবে সকলে আপনাকে চিহ্নিত করেন। একটা সত্যি কথা বলুন তো, অভিনেত্রীদের স্কিন শো করার বিষয়ে আপনার মত কী?
দেখুন, এই স্কিন শো বিষয়টা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ যদি মনে করেন তাঁর অ্যাট্রাকটিভ বডি আছে আর সেটা তিনি এক্সপোজ করতে চান, তো অবশ্যই করতে পারেন। খোলামেলা পোশাক যদি তাঁকে মানায়, তো তিনি পরবেন।এ নিয়ে এত আলাদা করে ভাবনাচিন্তার সময় কারওর নেই। আচ্ছা, আমি বোল্ড বলেই কি এই প্রশ্নটা করলেন? মানে বোল্ড শব্দের মানে কি এটাই, যে স্কিন শো করা নিয়ে সাফ জবাব দেবে?
স্কিন শো বিষয়টা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত : দিব্যা
না, আমার পরের প্রশ্ন আপনার ‘বোল্ড’ চিন্তা নিয়েই। আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এপ্রিল ফুলে গাছ লাগিয়ে এপ্রিল কুলের কথা বলেন। অন্য দিকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সচেতনতা নিয়েও আপনি সোচ্চার। এগুলো কি দিব্যার অন্য মুখ?
আসলে চারপাশ নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তা, অনুভূতিগুলো এরকম। আমি এর বাইরে তো নই। একজন পঞ্জাবি মেয়ে হিসেবে আমি বরাবর বিশ্বাস করেছি, যতটা সম্ভব মানুষের ভাল করা উচিত। এর তৃপ্তিটাই আলাদা। অক্ষয় কুমারের ‘প্যাডম্যান’আমার খুব ভাল লেগেছে। দেখুন, আমাদের সমাজ এখনও সিনেমা নির্ভর। সিনেমার মাধ্যমে যদি কিছু পৌঁছনো যায়, তার চাইতে ভাল কী হতে পারে! আমি বরাবর মেয়েদের জন্য আলাদা করে ভাবি। তাদের একক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার উৎসাহ দিই।
আরও পড়ুন, সোনিকার জন্যই এই কাজ পেলেন সাহেব!
আপনি তো বাংলাও শিখেছেন...
হ্যাঁ খুব মিষ্টি ভাষা। আর আমি বাঙালি মেয়েদের মতো শাড়ি পড়তে খুব ভালবাসি।
বাঙালি সাজে...
অনিল কপূর থেকে ইরফান খান— কেমন লাগে ফ্লোর শেয়ার করতে?
দারুণ অভিজ্ঞতা! অনিল কপূর ভীষণ ডিসিপ্লিন্ড! অথচ বাড়ি গেলে অন্য মানুষ। অনিলজির বাড়িতে গিয়ে ওঁর স্ত্রীর হাতের রান্না খেয়ে আমি ফ্ল্যাট। আর ইরফানের সঙ্গে তো অনেকদিন কাজ করছি। অনেক লম্বা রেসের খিলাড়ি ও।
আরও পড়ুন, প্রথমে ভেবেছিলাম ‘কবীর’ করব না: দেব
আর আপনি নিজে কী?
দেখুন দর্শক অভিনেত্রী হিসেবে আমায় পছন্দ করেছে। তাই তো আমি এত বিচিত্র ধারার চরিত্রে অভিনয় করতে পারছি। আমার কাছে এটাই পাওয়া।
ব্ল্যাকমেল-এও তো অন্যরকম চরিত্র...
একেবারেই আলাদা। অন্ধকারের মনখারাপের চরিত্র। আগে যা করিনি। বাকিটা হলে দেখবেন।