‘দোতারা’র একটি দৃশ্যে সুব্রত।
জন্ম বাঁকুড়ায়। প্রাণীবিদ্যার পড়ুয়া ছেলেটি কখনও অভিনয় করবেন ভাবেননি। অথচ অভিনয়ই পাল্টে দিয়েছে তাঁর জীবন। অভিনয়ই এখন তাঁর পেশা। তিনি সুব্রত দত্ত।
‘বিবর’, ‘চতুরঙ্গ’র মতো ছবির অভিনেতা দীর্ঘদিন মুম্বই প্রবাসী। বলি পাড়ায় কাজ করেন নিয়মিত। কিন্তু বাংলা ছবিতে কোথায় তিনি?
এ প্রশ্নের জবাব এখন সুব্রতর কাছে রয়েছে। কারণ আগামী দু’মাসের মধ্যেই পর পর তাঁর তিনটি বাংলা ছবি মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে রিজেক্ট করার সুযোগ অনেক বেশি’
‘‘বিবরের পর ‘চতুরঙ্গ’, ‘জোর’, ‘অচিন পাখি’, ‘তোমারই জন্য’— পর পর অনেকগুলো বাংলা ছবি করেছিলাম। এগুলো সাত-আট বছর আগের কথা। তখন আমার মেয়ে ছোট। ওকে সময় দেওয়াটা দরকার ছিল। সে কারণেই মুম্বইতে ছিলাম। কলকাতায় কাজ করিনি। এখন মেয়ে বড় হয়েছে। ন’বছর বয়স হল। এখন আবার মুম্বই-কলকাতা ট্রাভেল করে কাজ করছি,’’অকপট অভিনেতা।
‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’-এর দৃশ্যে জয়া আহসান এবং সুব্রত।
রিলিজের লিস্টে প্রথম রয়েছে অমিতাভ দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘দোতারা’। সুব্রত জানালেন, উত্তরবঙ্গের কামতাপুরী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বোনা হয়েছে এ ছবির গল্প। তাঁর চরিত্র ‘দেবদত্ত’র গানের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা রয়েছে। মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার যন্ত্রণা ফুটে উঠবে এ গল্পে। ভুটান, শিলিগুড়ি, টোটোপাড়া, কলকাতা মিলিয়ে হয়েছে শুটিং।
আরও পড়ুন, ‘বিজয়া’য় পদ্মা-নাসিরের মিলন হবে কি?
আশিস রায় পরিচালিত ‘সিতারা’ মুক্তির দিনের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আবুল বাশারের লেখা ‘ভোরের প্রসূতি’ উপন্যাস অবলম্বনে এগিয়েছে চিত্রনাট্য। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি চর রয়েছে। যা বছরে সাত মাস জেগে থাকে। বাকি সময় জলের তলায়। বাংলাদেশ থেকে একটি মেয়ে আসে, যার নাম ‘সিতারা’। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন। ওই চরের মানুষদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ের কাহিনি রয়েছে এই ছবিতে।
‘সিতারা’র দৃশ্যে রাইমা সেনের সঙ্গে সুব্রত।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে অর্ণব পাল পরিচালিত ‘বৃষ্টি তোমাকে দিলাম’। এই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে জয়া আহসানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন সুব্রত। এক তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, পরকীয়া মানেই গুজগুজ নয়, সম্মানেরও হতে পারে, বললেন কৌশিক
নেটফ্লিক্সে ‘সিলেকশন ডে’র মতো ওয়েব সিরিজ, সুশান্ত মিত্র পরিচালিত হিন্দি ছবি ‘জোসেফ’-এর মতো কাজ করছেন সুব্রত। কিন্তু অনেক বেশি করে মন দিতে চান বাংলায়। দীর্ঘ কেরিয়ারে বলিউড এবং টলিউডের মধ্যে চরিত্রগত কোনও পার্থক্য চোখে পড়ল কি? প্রশ্ন শুনে সুব্রত স্পষ্ট বললেন, ‘‘দেখুন টলিউডে বাজেট একটা বড় সমস্যা। সে জন্য ছবির মানের দিক থেকে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আমরা বাজারটা ঠিকমতো এক্সপ্লোর করতে পারছি না। আসলে কনটেন্টই রাজা। সেটা বাঙালি আবার বুঝেছে। একটা সময় সেটাই হত এখানে। কিন্তু মাঝখানে বেশ কিছু বছর রিমেক বা কপি পেস্ট করতে গিয়ে আমরা উল্টো দিকে চলে যাচ্ছিলাম। নিজেদের ক্ষতি হচ্ছিল। বাঙালি ক্রিয়েটিভিটি হারিয়ে ফেলছিল। সেটা বদলাচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলা সিনেমা দেখি না, এটা বলতে এখনও অনেক বাঙালি ভালবাসেন, যেটা খুবই লজ্জার।’’
শিকড়ে ফিরছেন সুব্রত। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিরও গল্পের শিকড়ে ফেরা উচিত বলে মনে করেন অভিনেতা।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)