জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা ছবির অভিনেতারা। ছবি— সংগৃহীত।
৯ জানুয়ারি ফারহান আখতার এবং ১০ জানুয়ারি হৃতিক-কাল্কির জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁদের একটি ছবি নিয়ে নতুন করে ভাবনা। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। ভাবতেই পারেন, কেন এই লেখা। আসলে, এই ছবি বন্ধুত্বের প্রতীক। এই প্রতিবেদনে সেই বন্ধুত্বকেই উদযাপন করার প্রয়াস।
২০১১-এ মুক্তি পেয়েছিল জোয়া আখতার পরিচালিত ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। বলিউডের এমন কমেডি-ড্রামা জঁরের ছবি খুব কমই তৈরি হয়েছে। এই ছবি আসলে বন্ধুত্বের প্রতীক। স্পেনেতিন বন্ধুর হলিডে জার্নি আসলে ছিল তাঁদের জীবনের এক নতুন মোড়। নিজেকে চেনার পাশাপাশি জীবনকে দেখার সংজ্ঞা পাল্টে দিতে পারা এই ছবি বলিউড বক্স অফিসে সুপারহিট। পেয়েছে দু’টি জাতীয় পুরস্কারও। নাচ-গান-রোম্যান্স-ঝগড়া-বন্ধুত্বের মিশেলে তৈরি এই ছবি থেকে আপনি কি কিছু শিখেছেন?
সাত বছর আগে মুক্তি পেলেও এই ছবির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে আজও। আসলে এই ছবির সবচেয়ে বড় পাওনা একটি ভাল স্ক্রিপ্ট। পাশাপাশি, জীবনকে নতুন করে দেখার বেশ কয়েকটি টিপস দিয়েছে এই ছবি। হৃতিক রোশন, ফারহান আখতার, অভয় দেওল, ক্যাটরিনা কইফ এবং কাল্কি কোয়েচলিনের অভিনয়ে সেই টিপসগুলো জীবন্ত করে তোলা হল এই প্রতিবেদনে।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন, নতুন বছরে জুটি বাঁধছেন এই তারকারা, জানেন?
আরও পড়ুন, এই বলি ভিলেনদের সন্তানরা কী করেন জানেন?
বন্ধুত্ব কখনও ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে হয় না
ছবিতে হৃতিক এক জন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার, অভয় দেওল এক জন ধনী ব্যবসায়ী এবং ফারহান আখতার এক জন লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এঁরা কেউই একে অন্যের পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে ভাবতেন না। মনের মিলটাই ছিল তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
একই মেয়েকে প্রেমিকা বানানোর লড়াই বেকার
বন্ধুত্ব যে কোনও রকম সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর। ছবিতেও হৃতিকের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে ফারহানের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। তাঁদের বন্ধুত্ব শেষ পর্যন্ত টিকলেও, সবার নাও হতে পারে। তাই একই মেয়েকে প্রেমিকা বানানোর ইচ্ছে থেকে বিরত থাকাই ভাল।
ভয়কে জয় করা
প্রতিটি মানুষেরই কিছু জিনিস ভয় লাগে। কয়েকটি বিষয় নিয়ে ফোবিয়া থাকে। কিন্তু যেটা আপনি ভয় পান, যদি আপনি সেটার সম্মুখীন না হন, তাহলে বোঝা দায় যে সেটি আসলে আপনি আদৌ ভয় পান কিনা। ছবিতে তিনজনই তাঁদের ভয় লাগার কাজগুলি করে ভয়কে জয় করেছিলেন।
জীবনকে উপভোগ করা
সারা বছর অফিস বা যে কোনও কাজে ব্যস্ত থাকার পরেও, নিজের বন্ধুদের জন্য সময় বের করা। টাকা জমিয়ে স্বপ্নের ডেস্টিনেশনে বেড়াতে যাওয়া। সেটা হতেই পারে কোনও রোডট্রিপ। যেমন, এই ছবিতে গিয়েছিলেন তিন বন্ধু।
সব সময় মনের কথা শোনা
কখনও চাপে পড়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভাল। ভাল বন্ধু মানেই যে সে ভাল সঙ্গী তা না-ও হতে পারে। অভয় দেওল ও কাল্কির সম্পর্ক থাকলেও পরে তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা আসলে কাপল নন। তাই সময় থাকতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে।