ক্যামেরন ডিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত।
মিষ্টিমুখের ক্যামেরন ডিয়াজ যে এতটাই ‘অভদ্র’, তা কে জানত! নেটমাধ্যমে আজকাল এমন ধরনের মন্তব্যই ভেসে বেড়াচ্ছে ক্যামেরনের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি হলিউডের এক পত্রিকার কর্মীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, তাঁর ক্যানসার হোক! এর পরেই ক্যামেরনকে শাপশাপান্ত করা শুরু করেছেন অনেকে।
সম্প্রতি এক অপ্রকাশিত আত্মকথায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ‘রোলিং স্টোন’ পত্রিকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইয়ান ওয়েনার। সেখানে এক অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন তিনি। যদিও ক্যামেরনই যে ওই মন্তব্য করেছেন, এমনটা আত্মকথায় কোথাও লেখেননি তিনি। তবে যে সময়কার কথা লিখেছেন ইয়ান, তখন ক্যামেরনের সঙ্গে জাস্টিন টিম্বারলেকের বেশ মাখো মাখো সম্পর্ক। সেই সময় একটি ফোটোশ্যুটেই নাকি ‘এক অভিনেত্রী’ ইয়ানের এক কর্মীকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, ‘‘প্রার্থনা করি, আপনার ক্যানসার হোক!’’ স্বাভাবিক ভাবেই ক্যামেরনের নাম না করলেও ইয়ানের তিরে যে তিনিই রয়েছেন, তা বুঝতে দেরি হয়নি কারও। ফলে ক্যামেরনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেও বেশি সময় নেননি তাঁরা।
‘লাইক আ রোলিং স্টোন’ নামে ইয়ানের ওই আত্মকথা প্রকাশিত হওয়ার কথা ১৩ সেপ্টেম্বর। তাতে নাকি ক্যামেরনের বেশ কিছু পুরনো কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যদিও কোথাও ক্যামেরনের নাম নেই। তবে ২০০৬ সালে জাস্টিনের সঙ্গে হাওয়াই দ্বীপে ছুটি কাটানোর সময় ক্যামেরনের বিখ্যাত চুমু ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন পাপারাৎজিরা। সে সময় ইয়ানের পত্রিকার কর্মীরাই তা ফাঁস করেছিল। এবং ইয়ান যে সময়ের ঘটনার কথা বলেছেন, তা-ও ছিল সেই সময়কার। ফলে ইয়ানের সেই ‘অভিনেত্রী’ যে ক্যামেরন— দুইয়ে দুইয়ে এমন চার মিলিয়ে নিয়েছেন নেটমাধ্যমের অনেকে। এর পরেই নেটমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন, ‘‘সত্যিই, অভদ্র আর রূঢ় হিসেবে কম পরিচিত নন তিনি (ক্যামেরন)?? যাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেছেন, তাঁদের গুজব এ বার সত্যি বলে মনে হচ্ছে।’’
নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে যে ক্যামেরনে মজেছিলেন দর্শকেরা, তাঁদের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না এ কথা। সে সময়কার ‘দেয়ার্স সামথিং অ্যাবাউট মেরি’-র মতো হিট ছবির মিষ্টি নায়িকা যে এতটা কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন, তা-ও মানতে পারছেন না অনেকে। যদিও ক্যামেরনের বিরুদ্ধে রোষে ফেটে পড়েছেন নেটমাধ্যমের একাংশ। তাঁদেরই এক জনের মন্তব্য, ‘মনে হচ্ছে তিনি জঘন্য মানুষ। এমন জঘন্য কথাও কেউ বলেন!’