মঙ্গলবারই হলিউড অভিনেতা চার্লি শিন জানিয়েছিলেন, তিনি এইচআইভি পজিটিভ। ঠিক তার পরের দিনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চার্লির প্রাক্তন বান্ধবী ব্রি ওলসন। প্রাক্তন এই পর্ন তারকার দাবি, ২০১১-এ চার্লির সঙ্গে বহুবার তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু নিজের অসুখের কথা ব্রিকে নাকি কিছুই জানাননি চার্লি। ব্রি-র কথায়, ‘‘আমি চার্লির সঙ্গে এক বছর ছিলাম। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হত। কিন্তু কখনও ও আমাকে জানায়নি যে ও এইচআইভি পজিটিভ। আমরা যে কন্ডোম ব্যবহার করতাম তাতে শুধুমাত্র প্রেগন্যান্সি আটকানো যায়। এখন তো মনে হচ্ছে খুব বোকার মতো কাজ করেছি আমি।’’
যদিও ব্রিয়ের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে চার্লি জানিয়েছেন, এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার পরেও নিয়মিত অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গম করেছেন। আর এতে নাকি ওই রোগ ছড়িয়েছে তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো দু’জন মাত্র যৌনকর্মীর দেহে। ওই ঘটনা ছাড়া প্রায় প্রতিটি সঙ্গীকেই তিনি নিজের এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এনবিসি-র টুডে শো-তে বসে চার্লি শিন জানিয়েছিলেন, “আমি এইচআইভি পজিটিভ। আমাকে ঘিরে রোজকার এই আক্রমণ, এই অর্ধসত্য খুবই ক্ষতিকারক… এ ধরনের গল্পে আমার চারপাশের মানুষের উপরও প্রভাব পড়ছে।”
হলিউড অভিনেতা চার্লি শিনের সমার্থক শব্দটি বোধহয় বিতর্ক। কিংবদন্তি অভিনেতা মার্টিন শিনের ছেলের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল হলিউডের বেশ কয়েকটি নামজাদা ফিল্মে। কিন্তু, খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের অনিয়ন্ত্রিত রঙিন জীবন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “মোটামুটি বছর চারেক আগে এটা জানতে পারি। এই তিনটে অক্ষর (এইচআইভি) হজম করা সত্যিই কষ্টকর।”
‘প্ল্যাটুন’, ‘ওয়াল স্ট্রিট’, ‘মেজর লিগ’, ‘মানি টকস’ বা ‘বিইং জন ম্যালকোভিচ’-এর মতো বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া ছবিতে এক সময় হলিউড কাঁপালেও তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশই নীচের দিকে নামতে থাকে। ফের সাফল্যের মুখ দেখেন টেলি-সিরিজে। তবে তাতেও ফের ভাটার টান আসে ২০১১-তে। জনপ্রিয় সিটকমের ‘টু অ্যান্ড আ হাফ মেন’-এ নির্মাতার সমালোচনা করে সেখান থেকেও বাদ পড়েন। গোল্ডেন গ্লোব জয়ী অভিনেতার শেষের বোধহয় সেই শুরু। সঙ্গী হিসেবে একাধিক পর্নস্টারদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছেন তাঁর। এক সময় তো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, দু’জন পর্নস্টারের সঙ্গে একই ছাদের নীচে লিভ-ইন করছেন তিনি। তাঁদেরই একজন ব্রি ওলসন।