(বাঁ দিকে) শ্রীদেবী-বনি কপূর, জাহ্নবী কপূর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৭ সালে শ্রীদেবী বিয়ে করেন প্রযোজক বনি কপূরকে। দুই মেয়ে খুশি আর জাহ্নবীকে নিয়ে সযত্নে সংসার সাজিয়েছিলেন শ্রীদেবী। তবে বলিউডের আনাচকানাচে লুকিয়ে থাকে অনেক না-বলা গল্প। তেমনই এক অধ্যায় হল শ্রীদেবী ও মিঠুনের প্রেমকাহিনি। এক সময় বলিউডে মিঠুনের সঙ্গে শ্রীদেবীর প্রণয়ের জোর গুঞ্জন শোনা যায়। যদিও সেই সময় বিবাহিত ছিলেন মিঠুন। শ্রীদেবী চেয়েছিলেন মিঠুনকে বিয়ে করতে। নায়কের জীবনে দ্বিতীয় নারী হয়ে থাকার কোনও ইচ্ছে তাঁর ছিল না তাঁর। সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তার পরই প্রযোজক বনি কপূরের সঙ্গে প্রেম। শোনা যায়, বিয়ের আগেই শ্রীদেবীর গর্ভে আসে জাহ্নবী। সেই কারণেই ১৯৯৭ সালে তড়িঘড়ি করে খুব ছোট পরিসরেই বিয়ে সারেন তাঁরা! তবে সত্য কী, এত দিনে মুখ খুললেন জাহ্নবীর বাবা বনি কপূর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাহ্নবীর জন্ম নিয়ে নানা ধরনের যে কাহিনি রয়েছে তারই অবসান ঘটান বনি। তিনি জানান, শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল শিরডির মন্দিরে। সালটা ১৯৯৬, ২ জুন। বিয়ের পর এক রাত ওই মন্দিরেই কাটান তাঁরা। বনির কথায়, ‘‘২ জুন বিয়ে হয়। তার পর জানুয়ারি মাসেই স্পষ্ট হয় শ্রীর স্ফীতোদর। তখন আমাদের কাছে সামাজিক বিয়ে করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তাই ১৯৯৭ সালে জানুয়ারি মাসে আমরা ফের বিয়ে করি। জাহ্নবীর জন্ম হয়। সেই বছর ৬ মার্চ। যার ফলেই অনেকেই জাহ্নবীর জন্ম নিয়ে নানা ধরনের রটনা রটিয়ে থাকেন।’’ বড় মেয়ে জাহ্নবীকে নিয়ে বরাবরই সচেতন ছিলেন শ্রীদেবী। মেয়ের খুঁটিনাটি বিষয় ছিল তাঁর নখদর্পণে। কিন্তু বলিউডে মেয়ের অভিষেক হওয়ার মাস কয়েক আগেই দুবাইয়ের হোটেলে স্নানঘরে আকস্মিক মৃত্যু হয় তাঁর।