(বাঁ দিক থেকে) মালাইকা অরোরা-অর্জুন কপূর, সলমন খান এবং বনি কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
মালাইকা আরোরার সঙ্গে আরবাজ খানের সম্পর্ক থাকাকালীনই অর্জুন কপূরের সঙ্গে মেলামেশা শুরু তাঁর। ধীরে ধীরে সলমনদের বাড়িতে আনাগোনা বাড়তে থাকে অর্জুনের। ২০১৭ সালে আরবাজ এবং মালাইকার বিবাহবিচ্ছেদের পর অর্জুনের সঙ্গে ইতিউতি দেখা যেত মালাইকাকে। এখন সমাজমাধ্যম জুড়ে শুধু এই যুগলের ছবি। স্বাভাবিক ভাবেই অর্জুনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সলমন খান। খান পরিবারে আঘাত দেওয়ার জন্য অর্জুনকেই দায়ী করেন ‘ভাইজান’। যে অর্জুনকে একসময় অভিনয় জগতে নিয়ে আসেন, তাঁর সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয় যায় খান পরিবারের। কিন্তু মালাইকার সঙ্গে ছেলের সম্পর্কের প্রভাব কি পড়েছিল বনির সঙ্গে সলমনের সম্পর্কে? সেটাই জানালেন প্রযোজক।
সলমনের জীবনের অন্যতম হিট ছবি ‘ওয়ান্টেড’-এর প্রযোজক ছিলেন বনি। এ ছাড়াও অভিনেতার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক বনির। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘ময়দান’ ছবির প্রযোজক জানান, তাঁর প্রথম স্ত্রী মোনা কপূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কখনও মাথায় আসেনি অর্জুন অভিনেতা হতে পারেন। সলমনই তাঁকে ডেকে বলেন, ‘‘স্যর, অর্জুন ভাল অভিনেতা হতে পারবে। ওর মধ্যে ব্যাপারটা আছে।’’ শুধু কী তাই! একসময় স্থূলকায় ছিলেন অর্জুন। সলমনের কথা মতোই নিজের ওজন কমান বনি-পুত্র। কিন্তু মাঝে একটা সময় নাকি অর্জুনের সঙ্গে প্রাক্তন ভ্রাতৃবধূর প্রেমের কারণে সম্পর্কে ভেঙে যায় বনির। মায়ানগরীতে এমনই জল্পনা ছিল এক সময়। বেশ কয়েক বছর আগে বনি নিজেই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কথা স্বীকার করেন। তবে সে সব অতীত। সম্প্রতি বনি বলেন, ‘‘ওদের সম্পর্কের প্রভাব কখনওই আমাদের মধ্যে পড়েনি। আমি এখনও সলমনকে ভালবাসি, আমি মনে করি ওর মতো মানুষ খুব কমই আছে। বড় হৃদয়, ওর মতো এত উষ্ণতা খুব কম মানুষের মধ্যেই রয়েছে। যখনই আমাদের দেখা হয়, ভালবেসে দেখা করি। সলমন আমাকে সম্মান দেয় এবং আমিও ওকে ভালবাসি।’’