লেখাপড়া শেষ করার জন্য নওয়াজ়-আলিয়ার দুই সন্তানকে দুবাইয়ে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ বম্বে আদালতের। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর থেকে শুরু হওয়া বিবাদ এখনও অব্যাহত। নতুন বছরেও চর্চার কেন্দ্রে বলিউড অভিনেতা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি ও স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ। তাঁদের দাম্পত্য কলহের জল গড়িয়েছে আদালতেও। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে প্রতারণা— বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন আলিয়া। অন্য দিকে, আলিয়ার বিরুদ্ধেও মাহানির মামলা ঠুকেছেন নওয়াজ়। শুধু তা-ই নয়, আলিয়ার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতার মা মেহেরুন্নিসা। সন্তানদের পিতৃত্ব পরীক্ষার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আলিয়া। বার বার নওয়াজ় ও আলিয়ার বিবাদের শিকার হয়েছে দুই সন্তান ইয়ানি ও শোরা। দুবাইয়ের স্কুলে লেখাপড়া করত তারা। এত দিন ধরে বন্ধ তাদের পড়াশোনা। এ বার তাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত আদালতের।একাধিক বার দাম্পত্যকলহের পর এ বার বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। বিচ্ছেদের পরে সন্তানদের দায়িত্ব পাবেন কে, সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছেন নওয়াজ়। নওয়াজ়ের আবেদনের ঘোরতর বিরোধিতা করেছেন আলিয়া। তাঁর দাবি, ছেলেমেয়েদের জীবনে কোনওদিন বাবার ভূমিকা পালনই করেননি নওয়া়জ়। তিনি বলেন, ‘‘নওয়াজ়ের দাবি, যেন ইয়ানি ও শোরা ওঁর সঙ্গে গিয়ে থাকে। এটা একেবারেই সম্ভব নয়। ওরা জন্মের পর থেকে আমার সঙ্গে থাকে, ওরা ওদের বাবার কাছে যেতেও চায় না।’’
এখানেই থামেননি আলিয়া। তিনি আরও বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে নওয়াজ় খালি ওদের সঙ্গে এসে দেখাটুকু করেছেন। ইয়ানি ও শোরা জানেও না, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়টা আসলে কী। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গ পেয়েছে ওরা। ওরা জানেই না, বাবার ভালবাসা কী জিনিস। আমি ওদের কখনও কখনও এ-ও জিজ্ঞাসা করেছি, ওরা বাবার সঙ্গে গিয়ে থাকতে চায় কি না। ওরা একেবারেই তা চায় না।’’ আলিয়ার দাবি, ‘‘নওয়াজ় সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও ওরা ওদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক নয়। অবশ্য আমি কখনও ওদের বারণ করিনি।’’ সন্তানরা কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে এখনও কোনও রায় না জানালেও তাদের পড়াশোনা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। লেখাপড়া শেষ করার জন্য ইয়ানি ও শোরাকে দুবাইয়ে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বম্বে আদালত। সন্তানদের দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে, তা নিয়ে ফের জুন মাসে শুনানি রয়েছে আদালতে।