নাচ, বলিউড আর তিনি। এক্কেবারে সমার্থক শব্দ। তিনি মাধুরী দীক্ষিত। তাঁর হাসিতে ঘায়েল হয়নি, এমন পুরুষ আছে নাকি! এহেন মাধুরীকেই বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এক ব্যক্তি। কে তিনি? কেনই বা রাজি হলেন না?
স্বপ্নসুন্দরী বলেই তাঁকে জানে লোকজন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে, ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ সিনেমা দিয়ে ডেবিউ করেন বলিউডে।
বলিউডের ডান্সিং ডিভাকে নিয়ে নব্বইয়ের দশকে এসে মাতামাতি আরও বেড়ে যায়। ‘তেজাব’ সিনেমায় তার ‘এক দো তিন’, ‘বেটা’ সিনেমায় ‘ধক ধক করনে লগা’-ভুলতে পারবেন না কি সিনেপ্রেমীরা?
মেয়ের মনে সারাক্ষণ শুধু নাচ আর অভিনয়। কী যে হবে! নয় বছর বয়সেই গুরুপূর্ণিমার উৎসবে নাচের পর মহারাষ্ট্রের এক সাংবাদিক লিখলেন প্রতিভাময়ীর সম্পর্কে। রক্ষণশীল মারাঠি পরিবারের মনে ভয় ধরল আরও।
সিনেপ্রেমীদের মনে ঝড় তুললেও বাবা-মায়ের মনে সারাক্ষণ চিন্তা মাধুরীর জন্য। তাঁরা ভাবতেন, মাধুরী ছবিতে অভিনয় করছেন। তাঁর আর কখনও বিয়েই হবে না।
মাধুরী একদিকে অভিনয় করছেন ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’-এ। মন জয় করছেন, ‘দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা’-র তালে। অন্যদিকে বাবা-মায়ের চিন্তা অল্পবয়সেই বিয়ে দিতে হবে মাধুরীর।
অবশেষে সৎ পাত্র খুঁজে পেলেন মাধুরীর বাবা-মা। গায়ক সুরেশ ওয়াডকরের কাছে মাধুরীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন তাঁর বাবা-মা।
বলিউডে সবে তখন কয়েকটা গান গেয়েছেন সুরেশ। তবে ১২ বছরের ছোট মাধুরীকে বিয়ে করতে তিনি মোটেও রাজি নন। কারণ মাধুরী নাকি খুব রোগা।
মাধুরীর বাবা বেশ আশাহত হয়েছিলেন এরপর। কিন্তু সুরেশের সঙ্গে বিয়ে হলে ‘আজা নাচ লে’-র মাধুরীকে পাওয়া যেত কি?
১৯৯৯ সালের ১৭ অক্টোবর শ্রীরাম মাধব নেনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন মাধুরী। অরিন আর রায়ান নামে দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের।