Bollywood Controversy

১১৯ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! সিবিআইয়ের জালে সলমন-সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ বলিউড প্রযোজক

বলিউড প্রযোজক হিসাবে পরিচিত মুখ তিনি। প্রযোজনা করেছেন সলমন খান, সঞ্জয় দত্তের মতো বলিউড তারকার ছবি। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১২:৪৯
Share:

১১৯ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠল বান্টি ওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।

ফের সিবিআইয়ের আতশকাচে বলিউড। এ বার প্রতারণার অভিযোগে সিবিআইয়ের নজরে ‘হ্যালো ব্রাদার’, ‘লমহা’ খ্যাত বলিউড প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়া। প্রতারণার টাকার অঙ্কও সামান্য নয়, ১১৯ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠল বান্টি ওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে ১১৯ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত ঘনিষ্ঠ প্রযোজকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

Advertisement

ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৮ সালের জুন মাসে সঞ্জয় দত্ত ও বিপাশা বসু অভিনীত ‘লমহা’ ছবিটি তৈরির জন্য ঋণ নিয়েছিলেন ছবির প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়া। তাঁর প্রযোজনা সংস্থা জিএস এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে ব্যক্তিগত গ্যারান্টার হিসাবে ঋণ নিয়েছিলেন বান্টি। ২.৩৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ফরেন কারেন্সি লোন নিয়েছিলেন বান্টি, সেই সময় ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা। তা ছাড়াও ৪.৯৫ কোটি টাকার একটি টার্ম লোনও নিয়েছিলেন ‘লমহা’ ছবির প্রযোজক। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় দত্ত ও বিপাশা বসু অভিনীত এই ছবিটি। যদিও উক্ত বেসরকারি ব্যাঙ্কের কথায়, ছবির প্রচারক ও প্রদর্শকের মধ্যে মতবিরোধের কারণে ছবির মুক্তি পিছিয়ে যায়। এর পর ওই ব্যাঙ্কের তরফে পিভিআরকে ‘লমহা’ ছবির এক মাত্র পরিবেশক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ব্যাঙ্ক ও পিভিআরের মধ্যে ছবি মুক্তি নিয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। ব্যাঙ্কের দাবি, পিভিআর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই ছবির প্রচার ও পোস্ট প্রোডাকশনের জন্য ৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাকি সেই প্রতিশ্রতি রাখেনি পিভিআর। ২০১০ সালে বান্টি ওয়ালিয়ার প্রযোজনা সংস্থা জিএস এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, পিভিআর ও ওই ব্যাঙ্কের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ব্যাঙ্কের অভিযোগ, পিভিআরকে তারা ছবির একমাত্র পরিবেশক হিসাবে নিযুক্ত করলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। তার ফলে ক্ষতির অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ৮৩.৮৯ লক্ষ টাকা৷ অন্য দিকে, কোম্পানির মোট উপার্জনের অঙ্ক ছিল ৭.৪১ কোটি, কিন্তু ছবির প্রচার ও বিতরণেই নাকি ৮.২৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল।

ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের আরও অভিযোগ, ফরেন্সিক অডিট অনুযায়ী প্রযোজনা সংস্থা সংস্থা একটি ভুয়ো ‘ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট’ জমা দিয়েছিল। যা সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, জনগণের অর্থের অপব্যবহার, অসত্য উপস্থাপনা এবং বিশ্বাস লঙ্ঘন-সহ একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগের সপক্ষে বড় প্রমাণ। প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement