শিল্প-সংস্কৃতির মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দিয়ে থাকেন শিল্পীরা। সিনেমা-ও তার বাইরে নয়। সত্যি ঘটনার উপর ভিত্তি করে বা সামাজিক নানা দুর্নীতিকে দর্শকদের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরেছে এমন সিনেমার উদাহরণ ভূরি ভূরি। গ্যালারির পাতায় হদিশ রইল এমনই কিছু ছবির
গব্বর ইজ ব্যাক: অক্ষয় কুমার এবং শ্রুতি হাসন অভিনীত ‘গব্বর ইজ ব্যাক’ বক্স অফিসে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু দর্শমহলে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল ছবিটি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের দুর্নীতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ছবিটির নানা অঙ্গে।
রং দে বসন্তী: জনপ্রিয়তার নিরিখে এক সময় প্রথম সারিতে ছিল রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘রং দে বসন্তী’। তিন বন্ধুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনি তুমুল সাড়া জাগিয়েছিল নয়া প্রজন্মের কাছে।
নায়ক: দ্য রিয়েল হিরো : এক দিনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাজিমাত করে দিয়েছিলেন ‘নায়ক’ সিনেমার হিরো অনিল কপূর। ১৯৯৯ সালে তামিল ছবি ‘মুধালভন’-এর রিমেক ‘নায়ক’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে খুব বড় রকম সামাজিক বার্তা দিয়ে গিয়েছিল।
গঙ্গাজল: ২০০৩ সালের প্রকাশ ঝা-র ক্রাইম সিনেমা ‘গঙ্গাজল’ এক জন সৎ ও সাহসী পুলিশ অফিসারের লড়াইয়ের কাহিনি। ওই সময়ের রাজনৈতিক এবং সামাজিক নানা অপকর্মের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ছবিটিতে। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অজয় দেবগনের অভিনয় ছিল নজরকাড়া।
অ্যান ইনসিগনিফিক্যান্ট ম্যান: বিনয় শুক্ল এবং খুশবু রাঙ্কা অভিনীত ‘পলিটিক্যাল থ্রিলার’ অ্যান ইনসিগনিফিক্যান্ট ম্যান। ছবিটিতে অরবিন্দ কেজরীবাল ও তাঁর আম আদমি পার্টির উত্থানের গল্প বলা হয়েছে। দিল্লি-সহ দেশের নানা প্রান্তে রমরমিয়ে চলেছিল ছবিটি।
উঙ্গলি: রেনসিল ডি’সিলভা পরিচালিত ‘উঙ্গলি’ মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। ছবিটিতে দেখানো হয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সোচ্চার হয় ‘উঙ্গলি গ্যাং’ নামে একটি বাহিনী। দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের সংশোধন করার প্রয়াসও দেখানো হয় ছবিটিতে। দর্শকমহলে একটা অন্য রকম বার্তা দিয়ে গিয়েছিল ছবিটি।
সত্যাগ্রহ: অমিতাভ বচ্চন, অজয় দেবগন, অর্জুন রামপাল, করিনা কপূর, মনোজ বাজপেয়ী-র মতো বি-টাউনের প্রথম সারির তারকাদের অভিনয় নজর কেড়েছিল এই ছবিটিতে। সরকারি উচ্চপদন্থ অফিসারদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনি ছিল ‘সত্যাগ্রহ’।