বাবলি গার্ল ইমেজ ছেড়ে ‘দরার’-এ নির্যাতিতার ভূমিকায় এসেছিলেন জুহি চাওলা। অত্যাচারিত স্বামীর হাত থেকে নিস্তার পেতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান প্রিয়া। দেখা হয় রাজ মলহোত্রর সঙ্গে। জুহির সঙ্গে এই ফিল্মে ছিলেন আরবাজ খান ও ঋষি কপূর।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের নিজস্ব কণ্ঠ খুঁজে পাওয়ার গল্প পার্চড। চিরাচরিত প্রথার বিরুদ্ধে সরব হন লীনা যাদবের এই ফিল্মের চরিত্রেরা। ফিল্মে রাধিকা আপ্তে, তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় ও সুরভীন চাওলার সঙ্গে রয়েছেন আদিল হুসেনের মতো বলিষ্ঠ অভিনেতা।
বিয়ের পর থেকেই এনআরআই স্বামীর কাছে নিয়মিত ধর্ষণের শিকার কিরণজিৎ অহলুওয়ালিয়া। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সইতে না পেরে শেষমেশ তাঁকে খুন করে কিরণজিৎ। সত্য ঘটনা নির্ভর জাগ মুন্দ্রার ফিল্ম ‘প্রোভক্ড’-এ সাড়া ফেলেছিল কিরণজিতের ভূমিকায় ঐশ্বর্যা রাইয়ের অভিনয়।
দীপা মেহতার ফিল্ম ‘বিদেশ’-এ একেবারেই ডিগ্ল্যামারাইসড রোলে দেখা গিয়েছিল প্রীতি জিন্টাকে। বিদেশি বসবাসকারী পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে চাঁদের। চাঁদের স্বপ্নভাঙার সেই শুরু। ইংরেজিতে ‘হেভেন অন আর্থ’ টাইটেলে ২০০৮-এর এই ফিল্মে প্রীতির অভিনয় অনেকেরই নজর কেড়েছিল।
জুলিয়া রবার্টস অভিনীত ‘স্লিপিং উইথ দ্য এনিমি’-র রিমেক হলেও নিজস্ব ছাপ রেখেছিল ‘অগ্নি সাক্ষী’। নয়ের দশকে পার্থ ঘোষের এই ফিল্মে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা হয় রিভেঞ্জ ড্রামার অ্যাঙ্গেলে। মণীষা কৈরালা, জ্যাকি শ্রফ ও নানা পাটেকর অভিনয়ে ফিল্মও হয়েছিল সুপারহিট।
২০০১ সালে কল্পনা লাজমির ‘দমন’-এ দর্শকদের চমকে দিয়েছিলেন রবিনা টন্ডন। বিয়ের রাত থেকেই স্বামীর যৌন নির্যাতনের শিকার দুর্গা সইকিয়াকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি। সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কারও জেতেন রবিনা।