ক্যাটরিনা কইফ। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে প্রায় দু’দশক কাটিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা কইফ। ২০০৫ সালে ‘ম্যায়নে পেয়্যার কিউঁ কিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করেই সকলের নজরে আসেন তিনি। নিজের পরিশ্রম আর যোগ্যতা দিয়ে বলিউডে নিজের জমি তৈরি করেছিলেন ক্যাটরিনা। ‘ওয়েলকাম’, ‘পার্টনার’, ‘নিউ ইয়র্ক’, ‘এক থা টাইগার’ ক্যাটরিনার কেরিয়ারের ঝুলিতে বাণিজ্য-সফল সিনেমার অভাব নেই। পারিশ্রমিকের দিক থেকেও ক্যাটরিনা অনেককেই ছাপিয়ে গিয়েছেন। ক্যাটরিনাকে নায়িকা হিসাবে নেওয়ার আগে প্রযোজক-পরিচালকদের নাকি খানিক ভাবতে হয়।
গত কয়েক বছর ধরে ক্যাটরিনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২২৪ কোটি টাকা। ক্যাটরিনা বার্ষিক যত টাকা রোজগার করেন, তার বেশির ভাগেরই উৎস সিনেমা। কিন্তু সেটাই একমাত্র নয়। অভিনয় ছাড়াও আরও অনেক কাজ করেন ক্যাটরিনা। যেখান থেকেও মোটা টাকা আয় করেন তিনি।
ক্যাটরিনার প্রসাধনী সংস্থা ‘কে বিউটি’র কথা অনেকেই জানেন। ২০১৯ সালে প্রথম বাজারে আসে এই সংস্থা। ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ১০০ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে এই সংস্থা। নিজের সংস্থা বাদ দিয়েও সম্প্রতি অন্য একটি সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন। সেখান থেকেও বছরে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হয় ব্যাঙ্কে। এ ছাড়া ইনস্টাগ্রামে অন্যান্য সংস্থার হয়ে প্রচারও করেন ক্যাটরিনা। সূত্রের খবর, প্রচারমূলক কাজের জন্য ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন ক্যাটরিনা। বেশ কিছু বড় সংস্থার মুখ হিসাবেও কাজ করেন ক্যাটরিনা কইফ। প্রতিটি সংস্থা থেকে বছরে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা পান ক্যাটরিনা।