Deepika Padukone on mental health

‘পেটের মধ্যে অদ্ভুত অস্বস্তি হত, চাইতাম না সকলে জানুক’, কোন প্রসঙ্গে বলেন দীপিকা?

সব শুনে দীপিকার মুম্বইয়ের বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁর বাবা-মা। অভিনেত্রীর মা কন্যাকে পরামর্শ দেন মনোবিদের কাছে যাওয়ার। সেই মতোই মনোবিদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১৮:০৪
Share:
Bollywood actress Deepika Padukone said that she wanted hide her destination from paparazzi

কোন অস্বস্তির কথা জানান দীপিকা! ছবি: সংগৃহীত।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একাধিক বার খোলাখুলি কথা বলেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এক সময়ে আত্মহত্যার কথাও মাথায় এসেছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অগত্যা মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল তাঁকে। তবে মনোবিদের কাছে যাওয়ার সময়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়েছিল তাঁকে। এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement

২০১৪ সালে সময়টা ভালই যাচ্ছিল দীপিকার। কাজের জগতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এক দিন সকালে ভেঙে পড়েন। অভিনেত্রী বলেন, “কেরিয়ারের মধ্যগগনে ছিলাম। সব ভালই চলছিল।” সেই সময়ে প্রায়ই ক্লান্ত লাগত দীপিকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজ করে চলেছিলেন তিনি। এই সব কিছুর মধ্যেই ক্রমশ বুঝতে পারেন, সমস্যাটা অন্য কোথাও।

এক দিন সকালে শারীরিক অস্বস্তি শুরু হয় তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, “বহু পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে বুঝলাম, কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। পেটের মধ্যে এক অদ্ভুত অস্বস্তি হত। অনবরত কাঁদতাম। ভেঙে পড়তাম। নিজেকেই যেন আর চিনতে পারছিলাম না।”

Advertisement

এই সব শুনে দীপিকার মুম্বইয়ের বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁর বাবা-মা। অভিনেত্রীর মা কন্যাকে পরামর্শ দেন মনোবিদের কাছে যাওয়ার। সেই মতোই মনোবিদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। মনোবিদের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, আতঙ্ক ও অবসাদ তাঁর উপর জাঁকিয়ে বসেছে। পরে এই বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন দীপিকা। কিন্তু সেই সময়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মনোবিদের কাছে যেতেন তিনি।

রাস্তায় বেরোলেই ছবিশিকারিরা পিছু নিতেন। কিন্তু দীপিকা চাইতেন না, তাঁর গন্তব্য সম্পর্কে তাঁরা জানুন। কিন্তু একটা সময় পরে তিনি নিজেই উপলব্ধি করেন, অন্য অসুস্থতার মতোই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কথা বলা উচিত। লুকিয়ে রাখার মতো বিষয় নয়। তার পর থেকেই প্রকাশ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement